লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই দাবানল মিলে নতুন দাবানলের সৃষ্টি

ক্যালিফোর্নিয়াতে দুইটি দাবানল একত্রিত হয়ে একটি নতুন দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৫ জুলাই)  সন্ধ্যা পর্যন্ত, এই নতুন দাবানলটির কারণে ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৩৯  একরের মত জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  রবিবারে কর্তৃপক্ষ জানায় যে, বাট কাউন্টির ডিক্সি ফায়ার দ্রুত উত্তর ও পূর্ব দিকে ছড়িয়ে পড়ছিলো। এটি পরে  নিকটবর্তী ফ্লাই ফায়ারের সাথে একসাথে জ্বলে ওঠে ও বিশালাকার ধারণ করে। নতুন এই দাবানলের কারণে কর্তৃপক্ষ ফলে আশে-পাশের জনপদ খালি করে দেওয়ার আদেশ দেয়।  জনতথ্য অফিসার লুইজ জিমিনেজ বলেন, ‘ শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।‘ তিনি আরো জানান, আগুনটি এতোই শক্তিশালী হয়েছে যে এটি আবহাওয়া অস্থিতিশীল করে ব্রজপাতও ঘটাতে পারে। জিমিনেজ বলেন, ‘আগুনটি থেমে থেমে আগাচ্ছে আর আমরা এটির পথ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রথম দিন থেকেই এভাবেই চলছে।‘ ইতোমধ্যে আগুনটি ১৬টির মতো ভবন ধ্বংস করেছে। এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ৫০০০ এর মত দমকলকর্মী দাবানলটির মোকাবিলা করছে। রবিবার পর্যন্ত তারা দাবানলটির শতকরা ২১ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। প্যাসিফিক গ্যাস অ্যান্ড ইলেকট্রিক কোং জানায় যে সম্ভবত তাদের সরঞ্জামগুলি ১৩ জুলাই ফেদার রিভার ক্যানিয়নে আগুনটির সূত্রপাত করেছে। দাবানলটি বিভিন্ন পরিবেশগত কারণে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ শুষ্কতা, নিম্ন আর্দ্রতা ও শক্তিশালী বাতাস অন্যতম। আগুনটি এতোটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে এটি নিজের মতো করে আবহাওয়া তৈরি করতে সক্ষম। যার ফলে এর মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই আগুনটি এই বছরের অন্যতম ভয়াবহ দাবানল। এই বছরের গ্রীষ্মে, পূর্বের তুলনায় বেশি সংখ্যক দাবানল দেখা গিয়েছে। দাবানলগুলোও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞরা জানায়, এই রকম দাবানল সাধারণত আগস্ট কিংবা সেপ্টেম্বরে দেখা যায়। এখন পর্যন্ত এই বছরের সবচেয়ে বড় দাবানল হচ্ছে অরিগানের বুটলেগ ফায়ার। দাবানলটি এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮ হাজার  ৯২০ একর জমি পুড়িয়ে ফেলেছে। এই দাবানলটি এক  পর্যায়ে এতো বেশি শক্তিশালী হয়েছিলো যে এটির কারণে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার পর্যন্ত আগুনটির শতকরা ৪৬ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।  বিশেষজ্ঞরা জানান, ক্রমাগত খরা ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আমেরিকার পশ্চিমভাগ প্রায়ই দাবানল দ্বারা আক্রান্ত হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এখন পূর্বের চেয়ে বেশি ভয়াবহ দাবানলের সূত্রপাত ঘটছে। এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ