লস এঞ্জেলেস

কোভিড রিলিফ জালিয়াতি: প্রতারক দম্পতির খোঁজে এফবিআই

মঙ্গলবারে এফবিআই টারজানার এক দম্পতির সন্ধানে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিলো। উক্ত দম্পতিটিকে করোনার ত্রান জালিয়াতির মামলায় নজরবন্দিতে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু দম্পতিটি পায়ের এংকেল ব্রেসলেট কেটে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বহু বছর কারাবাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় রিচার্ড আয়ভাজয়ান ও তার স্ত্রী ও সহযোগী মারিয়েত্তা তেরাবেলিয়ান ২৯ আগস্ট নিজেদের পায়ে থাকা লোকেশন মনিটারিং যন্ত্র সরিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিনই, একজন এলএ কাউন্টির বিচারক দম্পতিটিকে গ্রেফতার করার জন্য ওয়ারেন্ট জারি করেন। অনুমান করা হচ্ছে, আয়ভাজয়ান ও তেরাবেলিয়ান একইসাথে পালিয়েছে। এফবিআইয়ের নতুন পোস্টারের মারফতে জানা যায়, আয়ভাজয়ান মাদকাসক্ত ও তেরাবেলিয়ান অতীতে একটি বাচ্চাদের সেলুনে কাজ করতো এফবিআই জানিয়েছে, দম্পতিটি ২০০৪ সালের টয়োটা ক্যামারি চালায়। গাড়িটির লাইসেন্স প্লেট ক্যালিফোর্নিয়ার ও লাইন্সেস নাম্বার 5JYK335। ৪৩ বছর বয়সী আয়ভাজয়ান, ৩৭ বছর বয়সী তেরাবেলিয়ান ও তাদের ২ জন আত্মীয়কে জুন মাসে জাল লোন রিকুয়েস্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার আত্মসাৎ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ৮ অক্টোবর তাদের শুনানির তারিখ ছিলো।  প্রসিকিউটররা সোমবার অভিযোগপত্র দাখিল করে নজরদারি থেকে পালানোর অভিযোগে শাস্তি বৃদ্ধির অনুরোধ করেছেন। আসামিদের ব্যাংক জালিয়াতি, তারের জালিয়াতি, এবং অর্থ পাচারের ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল আয়ভাজয়ানকে পরিচয় চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। জুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অভিযুক্তদের ব্যাংক একাউন্ট, অলংকার, ঘড়িসহ অন্যান্য মূল্যবান বস্তু বাজেয়াপ্ত করা হবে। প্রমাণ দেখায় যে আসামিরা ঋণের জন্য নকল পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণামূলক আবেদনপত্র জমা দেয়। আবেদনপত্রে সমর্থনে, আসামিরা নকল কাগজপত্র ও নথিও জমা দিতো। দম্পতিটি জালিয়াতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজেদের জন্য বিলাস-বহুল বাড়ি, গাড়ি, জামা-কাপড়, হীরা ও স্বর্ণের অলংকারসহ ইত্যাদি বিলাস-বহুল বস্তু কিনে। রায়ের আগে, দম্পতিটির চার সহযোগী নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। কারো কাছে দম্পতিটি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে, তাকে (310) 477-6565) নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো। এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ