লস এঞ্জেলেস

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: হলিউডে চাকরি হারানোর শঙ্কা

রোবট বা যন্ত্রের দখলে চলে যাওয়া ভবিষ্যৎ কাল্পনিক পৃথিবী নিয়ে বহু বছর ধরেই গল্প ফেঁদে আসছেন হলিউডের চিত্রনাট্যকাররা। এবার তারাই যন্ত্রের কাছে নিজেদের চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। শুরু করেছেন ধর্মঘটও। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহারে রাশ টেনে ধরার দাবি তুলেছে দ্য রাইটার্স গিল্ড অব অ্যামেরিকা-ডাব্লিউজিএ। তবে স্টিমিং সেবায় মুনাফার কাটতি আর পড়তি বিজ্ঞাপনী আয়ে ধুঁকতে থাকা হলিউড স্টুডিওগুলো সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। স্টুডিওগুলোর পক্ষে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার্স অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডিউসার্সের মুখপাত্রের সঙ্গে এই বিষয়ে রয়টার্সের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। গত কয়েক বছর ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে হলিউড পাড়ায় বিতর্ক চলছে। শেষমেশ সোমবার থেকে ধর্মঘটে নেমেছেন মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের চিত্রনাট্যকাররা। চিত্রনাট্যকারদের ইউনিয়নের প্রস্তাব চ্যাটজিপিটির মতো কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি করে দেয়া রচনাকে ‘সাহিত্য উপকরণ' বা মূল উপকরণ' হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা যাবে না। অর্থাৎ, এই ধরনের লেখা যদি চিত্রনাট্যকারকে দেয়া হয় এজন্য তার মজুরি কমানো যাবে না। সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দক্ষ করে তোলার কাজে মানুষের রচিত বিদ্যমান চিত্রনাট্য ব্যবহার না করারও দাবি তুলেছেন তারা। কারণ এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে মেধাস্বত্ত্ব চুরির দুয়ার খুলে যেতে পারে। ডাব্লিউজিএ-এর প্রধান সমঝোতাকারী অ্যালেন স্টুটজম্যান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে তাদের সদস্যরা ‘নকল করার যন্ত্র' হিসেবে অভিহিত করেন। ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের লেখকদের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা উচিত হবে না। এই চেষ্টা না করার পেছনে আমাদের যৌক্তিক প্রস্তাব রয়েছে,'' বলেন তিনি। এলএবাংলাটাইমস/এজেড