যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেস (UCLA) নিশ্চিত করেছে যে তাদের একজন আন্তর্জাতিক গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীকে ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার UCLA ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একদল বিক্ষোভ করেন, ওই শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে। জানা গেছে, শিক্ষার্থীটি মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় মার্কিন সীমান্ত নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের (CBP) হাতে আটক হন।
UCLA এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "শিক্ষার্থীটি এখনও CBP-র হেফাজতে রয়েছেন এবং আমরা আরও তথ্য জানার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি," বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ফর স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস, মেরি ওসাকো। তিনি আরও বলেন, "আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ব্রুইন সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং UCLA-তে তাদের শেখা ও বেড়ে ওঠার অধিকারে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
আটক শিক্ষার্থীর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি এবং তাকে কেন আটক করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে UCLA চ্যান্সেলর জুলিও ফ্রেঙ্ক জানান, চলতি মাসের শুরুতে ছয়জন বর্তমান শিক্ষার্থী এবং ছয়জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন সরকার। তারা সবাই একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন, যেখানে বলা হয়েছিল, যারা গত বসন্তে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের মধ্যে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন, তাদের ভিসা বাতিল করা হতে পারে। UCLA ছিল সেই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রস্থল।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম