লস এঞ্জেলেস

নো কিংস ডে’ বিক্ষোভে কঠোর প্রস্তুতি, এলএ-তে মেরিন মোতায়েন

যুক্তরাষ্ট্রের “নো কিংস ডে” নামে এক জাতীয় বিক্ষোভ দিবস উপলক্ষে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো প্রস্তুতিতে রয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২,০০০টিরও বেশি শহরে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় ঢালা হবে ‘No Kings Nationwide Day of Defiance’ অবস্থান কর্মসূচি, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “স্বৈরাচারী” নীতিবিরোধী প্রতিবাদ হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রতিবাদকারীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর জোর দিচ্ছে: উচ্চ প্রশিক্ষিত শান্তি রক্ষী মার্শালদের দল থাকবে, ডি-এসক্যালেশন এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লস এঞ্জেলেসে, ইতোমধ্যে ৪,০০০ নাৎসনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রথম দফার ২০০ মেরিন কেডারি শনিবার ফেডারেল ভবন ‘উইলশায়ার’ এর বাইরে দায়িত্ব নেবে। তাদের দায়িত্ব হবে সেই ভবন সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকা যাতে নাগরিকদের ওপর অনিয়ম বা হাঙ্গামা না হয়। মেরিনদের দায়িত্ব শুধুমাত্র নিরাপত্তা — তাদের হাতে ফৌজদারি ক্ষমতা নাই, তবে এসা কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তাকে স্থানীয় পুলিশে হস্তান্তর করা হবে । শুক্রবার একজন পুরনো সৈনিক, মার্কোস লেও, উইলশায়ার ভবনের বাইরে চলাফেরার সময় সাময়িকভাবে আটক হয়। মেরিনরা তার হাত জিপ-টাই দিয়ে বাঁধে, পরে পুলিশ এসে তাকে ছেড়ে দেয়। এই সকল প্রস্তুতি এবং সেনা মোতায়েনের পেছনে কারণ—শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ICE অভিযানের পর লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদের সময় উদ্বেগ ও অশান্তির জোয়ার দেখা দিয়েছে। কোর্ট ৯ম সার্কিট আপিল করেছে যে, ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পূর্বে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের অনুমতি না নিয়ে কর্ম এগোতে পারেনি; তারপর ট্রাম্প আইন অংগ হিসাবে অধিকার পেয়েই ক্রমাগত মোতায়েন বৃদ্ধি করেছেন। “নো কিংস ডে” বিক্ষোভের মূল বক্তব্য: “ট্রাম্প যেন রাজা নয়,” এবং এটি প্রতিরোধ করা হবে। তারা ট্রাম্পের বার্ষিক মিলিটারি প্যারেড ও তার ৭৯তম জন্মদিনের দিন ঘিরে ট্রাম্পের ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিরাপত্তা বাহিনীর রাজনৈতিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত প্রস্তুত; কোথাও কোন অশান্তি হলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কিন্তু শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অধিকার রক্ষা করা হবে। এই আন্দোলন আমেরিকার গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বৈরাচার বিরোধী ধারাকে তুলে ধরছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করছে। সাথে রয়েছে সৈন্য মোতায়েন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি, যা ভবিষ্যতে কীভাবে পরিস্থিতি গড়ে তোলে সেটাই দেখার বিষয়।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম