লস এঞ্জেলেসের ব্রেন্টউড এলাকার একটি বাড়িতে বুধবার বিকেলে পুলিশ ও ফেডারেল এজেন্টদের যৌথ অভিযানে একটি অগ্নিনির্বাপক ট্রাকসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ট্রাকটির সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে গ্রেপ্তার হওয়া এক ভুয়া কর্মকর্তা ও কাল্পনিক অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
এলএপিডির মেজর ক্রাইমস ডিভিশন নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইউএস ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (ATF)-এর সহযোগিতায় সাউথ রকিংহ্যাম অ্যাভিনিউর ১০০ নম্বর ব্লকের একটি বাড়িতে সার্চ ওয়ারেন্ট কার্যকর করেছে।
বাড়ির একজন বাসিন্দাকে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত অপরাধ, সরকারি জালিয়াতি এবং জরুরি সেবাদানকারী সেজে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযানে যে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে সেটি “সান্তা মুয়ের্তে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট” নামের এক সংগঠনের নামে নিবন্ধিত – যদিও বাস্তবে এই সংস্থার অস্তিত্ব নেই।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টিতে এই ‘সান্তা মুয়ের্তে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট’-এর নাম প্রথম সামনে আসে, যখন অ্যান্ড্রু ডি বোয়ের নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে ভুয়া ট্রাফিক স্টপ করেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু ডি বোয়ের পুলিশের মতো পোশাক পরে, হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, পেপার স্প্রে ও সান্তা মুয়ের্তে ব্যাজ নিয়ে সাধারণ মানুষের গাড়ি থামাচ্ছেন। তার ব্যবহৃত গাড়িটি ছিল একটি সাদা ফোর্ড এফ-৩৫০ ট্রাক, যাতে জরুরি আলো ও অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর স্টিকার লাগানো ছিল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বিশেষ লাইসেন্স প্লেট ছিল।
পরবর্তীতে ডি বোয়ারকে ভুয়া পুলিশ পরিচয় ও জোর করে কাউকে আটকে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাসা থেকে উদ্ধার হয় বুলেটপ্রুফ বডি আর্মার, আগ্নেয়াস্ত্র, আইডি কার্ড, ব্যাজ ও ইউনিফর্ম, যেগুলোতে একই ভুয়া ফায়ার ডিপার্টমেন্টের নাম ও লোগো ছিল।
বুধবারের ব্রেন্টউড অভিযানের বিষয়ে এলএপিডি এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি এবং বাড়ি থেকে আর কী কী আলামত উদ্ধার করা হয়েছে তাও জানানো হয়নি।
এখনো স্পষ্ট নয় যে ব্রেন্টউড অভিযানের ঘটনার সঙ্গে ২০২৩ সালের ডি বোয়ের কেলেঙ্কারির কোনো সম্পর্ক আছে কিনা। তবে আগুন নেভানোর ট্রাক, ভুয়া ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং একই ধরনের অপরাধের ধরণ ঘিরে ঘটনাটি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে, যা তদন্তকারীদের জন্য নতুন ধাঁধার জন্ম দিয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম