ক্যালিফোর্নিয়ার ভোটাররা অঙ্গরাজ্যের নতুন পুনর্বিন্যাস (রিডিস্ট্রিক্টিং) প্রস্তাব, প্রপোজিশন ৫০ (প্রপ ৫০), সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনে অনুমোদন করেছেন। এর ফলে আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে (মিডটার্ম) ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আরও পাঁচটি অতিরিক্ত কংগ্রেসনাল আসন অর্জনের পথে রয়েছে। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, প্রস্তাবটি ক্যালিফোর্নিয়ার বেশিরভাগ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।
প্রপ ৫০ উদ্যোগটি মূলত টেক্সাসে রিপাবলিকানদের রিডিস্ট্রিক্টিং প্রচেষ্টার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আনা হয়। এই প্রচারণার নেতৃত্ব দেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম, যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান সমালোচক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত। বিলটি পাস হওয়ার ফলে ক্যালিফোর্নিয়া এখন আগামী তিনটি নির্বাচনী চক্রের জন্য নতুন কংগ্রেসনাল মানচিত্র বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে পারবে।
২০৩০ সালের মার্কিন জনগণনা শেষে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীন পুনর্বিন্যাস কমিশন আবারও অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসনাল সীমারেখা নির্ধারণের কাজ হাতে নেবে।
আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্য কংগ্রেসনাল জেলা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। টেক্সাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া দলীয় স্বার্থে মানচিত্র বদলের (পার্টিজান জেরিম্যান্ডারিং) বিতর্কই জাতীয়ভাবে এই লড়াইয়ের সূচনা করে।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত টেক্সাস গত আগস্টে নতুন মানচিত্র অনুমোদন করে, যা ডেমোক্র্যাটিক-ঝোঁকযুক্ত পাঁচটি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ আসন রিপাবলিকানদের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। এর পরপরই ক্যালিফোর্নিয়া পদক্ষেপ নেয়। আগস্টে ক্যালিফোর্নিয়া আইনসভা মানচিত্র পাস করে, আর এর মধ্যেই মিসৌরি ও নর্থ ক্যারোলিনাও নতুন মানচিত্র গ্রহণ করেছে। অন্যান্য রাজ্যও শিগগিরই এ পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ব্যালট ব্যবস্থার ফলাফল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে প্রেসিডেন্টের দল মধ্যবর্তী নির্বাচনে আসন হারায়—রিপাবলিকানরা এবার সেই প্রবণতা রুখতে চায়। বর্তমানে রিপাবলিকানদের হাতে ২১৯টি আসন, ডেমোক্র্যাটদের হাতে ২১৩টি, এবং তিনটি আসন শূন্য রয়েছে।
প্রপ ৫০ পাস হওয়ার ফলে ক্যালিফোর্নিয়ায় ডেমোক্র্যাটরা এখন রাজ্যের ৫২টি কংগ্রেসনাল আসনের মধ্যে ৪৮টি পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পথে—যা বর্তমানে তাদের দখলে থাকা ৪৩টি আসনের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম