কিংবদন্তি হলিউড চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা রব রাইনার এবং তাঁর স্ত্রী মিশেলকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। রোববার বিকেলে লস এঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় অবস্থিত তাঁদের বাড়িতে পুলিশ ও দমকল বাহিনী পৌঁছানোর পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধরে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। রব রাইনার দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড, দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ, হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি, মিজারি এবং আ ফিউ গুড মেন–এর মতো একাধিক জনপ্রিয় ও সমালোচকপ্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
পরিবারের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র মার্কিন গণমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, “অত্যন্ত গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা মিশেল ও রব রাইনারের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি। এই আকস্মিক ক্ষতিতে আমরা ভীষণভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
লস এঞ্জেলেস পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ৭৮ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ৬৮ বছর বয়সী এক নারীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় বা মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতি প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ আরও জানায়, এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং বর্তমানে কোনো সন্দেহভাজন বা ‘পারসন অব ইন্টারেস্ট’ খোঁজা হচ্ছে না।
লস এঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৩৮ মিনিটে লস এঞ্জেলেসের ব্রেন্টউড এলাকার একটি বাড়িতে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ফোন আসে। ব্রেন্টউড এলাকা বহু হলিউড তারকার আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।
লস এঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের রবারি হোমিসাইড ডিটেকটিভরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। রোববার রাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মৃত্যুর কারণ বা ঘটনাস্থলে কী পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। ডেপুটি চিফ অ্যালান হ্যামিল্টন জানান, জরুরি বাহিনী পৌঁছানোর ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় পরেও দুইটি মরদেহ বাড়ির ভেতরেই ছিল।
পুলিশ মৃতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না বা কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে কি না—সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য জানায়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করবে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি করোনারের দপ্তর।