মধ্যপ্রাচ্য

করোনায় অবৈধ প্রবাসীরাও পাবেন সরকারি চিকিৎসা : সৌদি বাদশা

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ইতোমধ্যে ১৯৫টিরও বেশি দেশে শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল রবিবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৮০ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ২১ হাজার ২৯৩ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৪ জন।

এদিকে সৌদি আরবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত যেকোনও ব্যক্তি, এমনকি অবৈধ প্রবাসীদেরও চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

সোমবার (৩০ মার্চ) সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেলে সবাইকেই বাদশাহ সালমানের নতুন আদেশের অধীনে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বিনা সংকোচে সরকারি-বেসরকারি যেকোনও হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) আল-রাবিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এদের মধ্যে সৌদির নাগরিক এবং বৈধ ভিসাধারী বা অবৈধ প্রবাসীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে এ ব্যবস্থা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সেবা নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। বর্তমানে সৌদি আরবে কয়েক হাজার প্রবাসী আইনি জটিলতায় তথা শ্রম মন্ত্রণালয়ের ধার্যকৃত লেভি ফিসহ বিভিন্ন সমস্যায় রেসিডেন্স কার্ড বা আকামা নবায়ন করতে না পেরে অবৈধ নাগরিক হয়ে আছেন। তাদের মনে এতদিন শঙ্কা ছিল, করোনা আক্রান্ত হলে কোথায় যাবেন, কী করবেন। কিন্তু সৌদি বাদশাহর এই আদেশের মাধ্যমে সেসব ভয় দূর হয়ে গেল।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সৌদিতে ইতোমধ্যেই সরকার ঘোষিত ২১ দিনের আংশিক কারফিউয়ের সঙ্গে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। জেদ্দায় কারফিউয়ের সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে বিকেল ৩টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জেদ্দার কারফিউয়ের সময় নির্ধারণ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার থেকেই এই আদেশ কার্যকর হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ মার্চ থেকে সৌদির অন্যতম পবিত্র ও ব্যস্ততম এলাকা মক্কা, মদিনা ও রাজধানী রিয়াদে বিকেল ৩টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর করা হয়। ২৩ মার্চ থেকে দেশটিতে ২১ দিনের আংশিক কারফিউ শুরু হয়। তখন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউয়ের সময় ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে মক্কা, মদিনা, রিয়াদ ও সর্বশেষ জেদ্দায় সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

সৌদিতে এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫৩ জন, মারা গেছেন আটজন।


এলএবাংলাটাইমস/এম/এইচ/টি