মধ্যপ্রাচ্য

ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সৌদি বাদশাহর আহ্বান

ইরানকে ‘সন্ত্রাসবাদের লালনকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। খবর আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

ভাষণে তেহরানের ‘পারমাণবিক উন্নয়ন এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল’ কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সৌদি বাদশাহ বলেন, ‘ইরানের আঞ্চলিক পরমাণু প্রকল্প, সন্ত্রাসবাদের লালন এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কারণে আমরা খুবই শংকিত।’

তেহরান যাতে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সৌদি বাদশাহ।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের বিপরীতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে রিয়াদের।

সৌদি বাদশাহর এমন বক্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ইতোপূর্বে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহের কথা অস্বীকার করেছে তেহরান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার পরই সৌদি-ইরানের পুরনো বিবাদ নতুন করে সামনে আসে।

ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধকেও মূলত সৌদি-ইরানের প্রক্সিযুদ্ধ বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়ে থাকে। ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা দেশটির সৌদি সমর্থিত শাসককে উৎখাতের পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্রপীড়িত দেশটিতে হামলা শুরু করে সৌদি সামরিক জোট।

এবার নির্বাচনি প্রচারে রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। আহ্বান জানিয়েছেন ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনে মার্কিন সহায়তা বন্ধের। সাংবাদিক জামাল খাসোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি যুবরাজের জবাবদিহিতার দাবি তুলেছিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে দৃশ্যত মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয় সৌদি আরবের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

আর আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে যেভাবে কাছে পেয়েছিল রিয়াদ বাইডেন আমলে যুক্তরাষ্ট্রকে হয়তো সেভাবে পাশে পাবে না রিয়াদ। ফলে এ নিয়ে উদ্বেগ ঘিরে ধরেছে সৌদি শাসক গোষ্ঠীকে।