প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হস্তক্ষেপে ইসরায়েল ও হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের গাজা অংশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুই পক্ষকেই চাপ প্রয়োগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল গাজা ও হামাসের উপর বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে, হামাস মাঝখানে রকেট হামলা স্থগিত দিলেও আবারো শুরু করেছে।
হামাসের জেষ্ঠ্য এক নেতা গণমাধ্যমকে জানান, দিন কয়েকের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে। আর ইসরায়েল জানিয়েছে, লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে ইসরায়েলের উপর প্রায় আট ঘণ্টা রকেট হামলা স্থগিত রাখে হামাস। এরপর আবারো সীমান্ত এলাকায় রকেট হামলা শুরু করে হামাস। চলমান সংঘর্ষের ১১ দিন চলছে আজ।
অপরদিকে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা অংশে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ভবিষ্যতের সংঘাত এড়িয়ে যেতে ইসলামিস্ট এই গ্রুপটির উপর হামলা চালানোর কথা জানায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।
মে'র ১০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ২২৮ জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। এই হামলাকে গণহত্যার সাথে তুলনা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, এখন পর্যন্ত হামাসের রকেট হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি বাসিন্দা মারা গেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ ।
এর আগে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বিরতির নিয়ে জোর পদক্ষেপ নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এই বিষয়ে মিশরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সাথে যুক্ত একজন জানান, 'যুদ্ধ বিরতির স্বার্থে একমত হলেও অনেক ছোট বিষয় নিয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে'।
হামাসের একজন রাজনৈতিক নেতা মুসা আবু মারজুক বলেন, 'যুদ্ধ বিরতি নিয়ে যে চেষ্টা করা হচ্ছে সেটি সফল হতে পারে'।
তিনি বলেন, 'আশা করা যায় দুই-একদিনের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধ বিরতি সম্ভব হবে'।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম