ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় তারা মোট এক হাজার পাঁচ শ' লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় তারা।
ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নামে পরিচিত সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত পরিচালিত 'গার্ডিয়ান অব দ্য ওয়ালস' অভিযানে তারা মোট ১৫০০ 'সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে' বিমান হামলা চালিয়েছে।
অপরদিকে গাজা থেকে ইসরাইলে মোট চার হাজার তিন শ' ৬০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাসসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। এর মধ্যে তিন হাজার চার শ' রকেট ইসরাইল ভূখণ্ড পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপনে গত ২৫ এপ্রিল ইসরাইলি আদালতের আদেশের জেরে ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই সকল হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।
মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে মোট চার হাজার তিন শ' ৬০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬৫ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ' গাজাবাসী।
গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের আগ্রাসনের পর বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়। মিসরীয় উদ্যোগে এই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় ইসরাইলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শুক্রবার সকাল থেকে তা কার্যকর হয়। ফিলিস্তিনিরা এই যুদ্ধবিরতিকে নিজেদের বিজয় হিসেবে গণ্য করছেন। এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এমই
[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]
ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নামে পরিচিত সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত পরিচালিত 'গার্ডিয়ান অব দ্য ওয়ালস' অভিযানে তারা মোট ১৫০০ 'সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে' বিমান হামলা চালিয়েছে।
অপরদিকে গাজা থেকে ইসরাইলে মোট চার হাজার তিন শ' ৬০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাসসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। এর মধ্যে তিন হাজার চার শ' রকেট ইসরাইল ভূখণ্ড পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপনে গত ২৫ এপ্রিল ইসরাইলি আদালতের আদেশের জেরে ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই সকল হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।
মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে মোট চার হাজার তিন শ' ৬০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬৫ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ' গাজাবাসী।
গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের আগ্রাসনের পর বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়। মিসরীয় উদ্যোগে এই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় ইসরাইলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শুক্রবার সকাল থেকে তা কার্যকর হয়। ফিলিস্তিনিরা এই যুদ্ধবিরতিকে নিজেদের বিজয় হিসেবে গণ্য করছেন। এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এমই
[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]