মধ্যপ্রাচ্য

৮৪ বছরে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক

একের পর এক শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে তুরস্ক। এ ঘটনায় দেশটির ১০ নগরীতে ১৭শর বেশি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত্যু এক হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় তিন হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় সোমবার ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিগত ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। ভূমিকম্প আঘাত হানার দুই ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৪২টি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূকম্পনবিদ স্টিফেন হিকস বলেন, এর আগে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহাণি ঘটে। সিরিয়ার জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ রাষ্ট্রীয় বেতার স্টেশনকে বলেন, ‘আমাদের এই কেন্দ্রের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।’ ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে, সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দুটির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান টুইটারে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। আশা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতিসহ এই দুর্যোগটি কাটিয়ে উঠব। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে প্রবেশ না করার জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করা আমাদের প্রথম কাজ।



এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস