মধ্যপ্রাচ্য

২ সপ্তাহ পর তুরস্কে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত

ঘুমিয়েছিলেন যে ভবনে, তার ধ্বংসস্তূপই হলো শেষ ঠিকানা। জীবিত আর কাউকে পাওয়ার সম্ভাবনা ফুরিয়ে আসায় ভূমিকম্পের ১৪ দিনের মাথায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে তুরস্ক সরকার। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, কেউ আর বেঁচে নেই বলে ধারণা তাঁদের। তবে এখনও অসংখ্য মানুষ লাশের অপেক্ষায়। তাঁদের চাওয়া, স্বজনের মৃতদেহ কবর দিতে চান। খবর: রয়টার্স ও বিবিসি’র। অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার আগে রোববার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের কাহরামানমারাস শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছিলেন আকিন বোজকার্ট নামে এক বুলডোজার চালক। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারের কাছে তাদের স্বজনদের মৃতদেহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি, দোয়া করুন যাতে মৃতদেহ খুঁজে পাই। স্বজনরা জানাজা ও দাফন করার অপেক্ষায় আছেন। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী, মৃতদেহ যত দ্রুত সম্ভব দাফন করার নির্দেশনা রয়েছে।’ তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) প্রধান ইউনুস সেজার বলেছেন, রোববার রাতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অনেকাংশে শেষ হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তুরস্কের প্রায় তিন লাখ ৪৫ হাজার ভবন পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়া কোনো দেশই নিখোঁজদের সংখ্যা জানায়নি। এদিকে, ১৩ দিনের মাথায় গত শনিবার অনুসন্ধানী কুকুর ও থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে দুজন জীবিত আছে বলে শনাক্ত হয়। এর পর উদ্ধার অভিযান শুরু করেন কর্মীরা। কিন্তু দীর্ঘ সময় লাগায়, আট ঘণ্টার মাথায় মধ্যরাতে উদ্ধারকর্মীরা নিশ্চিত হন, তাঁরা আর বেঁচে নেই। পরে অভিযান বন্ধ করে অন্যত্র চেষ্টা করেন কর্মীরা। এএফএডির সদস্য মুজদাত এরদোয়ানের ধারণা, কাউকেই আর জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। কারণ, ধ্বংসস্তূপে আর কেউ বেঁচে নেই। এদিকে কিরগিজস্তানের শ্রমিকরা আন্তাকিয়ায় একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি সিরিয়ান পরিবারকে ১২ দিনের মাথায় উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে সফল হন। সেখান থেকে শিশুসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পরে পানিশূন্যতায় শিশুটির মৃত্যু হয়।



এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস