মধ্যপ্রাচ্য

ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবে আগ্রহী নয় কাতার

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান রাজনৈতিক সংকটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা দেখতে চায় না কাতার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল থানি। তিনি বলেন, ছয় আরব দেশকে কেউ কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের অধিকার দেয়নি। আর বিদ্যমান অবরোধের মধ্যে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি দেশত্যাগ করবেন না।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কাতারি আমিরের দেশত্যাগ না করার ঘোষণার মধ্য দিয়ে মূলত কাতার ইস্যুতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে দোহা। কারণ এ ঘোষণার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী হোয়াইট হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করছেন না কাতারের আমির।
এর আগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে ছয় আরব দেশের সম্পর্ক ছিন্নের ঘটনায় নিজের ‘কৃতিত্ব’ দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে টুইটারে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, আমার সাম্প্রতিক সৌদি সফরের ফল আসতে শুরু করেছে। এ সফরে অন্য মুসলিম দেশগুলো আমাকে জানিয়েছে,  কাতার ‘মৌলবাদী দর্শনে’ অর্থায়ন করছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সফরে আমি মৌলবাদী দর্শনে অর্থায়নের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। নেতারা কাতারের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেছেন, দেখুন!’আরেক টুইটে তিনি বলেন, এটা খুবই চমৎকার যে, সৌদি সফরে দেশটির রাজা ও অর্ধশত দেশের নেতাদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ফল এরইমধ্যে আসতে শুরু করেছে। তারা বলেছে, উগ্রবাদী অর্থায়নের বিরুদ্ধে তারা কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে সবকটি সূত্র কাতারকেই নির্দেশ করে। সম্ভবত, এটা হবে সন্ত্রাসের বিদায়ের সূচনালগ্ন।
টুইটারে এমন পোস্ট দেওয়ার পর কাতারের আমিরকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের মতপার্থক্য নিরসনে সহায়তার প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজনে হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে বৈঠকের আয়োজন করা যেতে পারে।
কাতারের রাজধানী দোহা-য় এক অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেন, কাতারকে একঘরে করা হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে আমরা সফল এবং প্রগতিশীল। আমরা শান্তির পক্ষে একটি প্লাটফর্ম, সন্ত্রাসের পক্ষে নয়। চলমান এই সংকট পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে প্রস্তুত নই। আমরা কখনোই আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ধুলায় মিশিয়ে দিতে প্রস্তুত নই। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।