নিউইয়র্ক

নিউইয়র্ক কমিউনিটির পরিচিত মুখ মাহফুজুর রহমান আর নেই

দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের মতো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ও খুলনা সোসাইটি ইউএসএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইবনে মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (৫০)। ২৬ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১০টার (নিউইয়র্ক সময়) দিকে তিনি ফ্লাশিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইন্তেকাল করেন (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্ন ইলাইহে রাজেউন)। ব্রেন হেমারেজের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হন মাহফুজ। সেই থেকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের বেড়েই কাটে তার জীবন। মাহফুজের মরদেহ শনিবার ভোর রাতে হাসপাতাল থেকে নিয়ে রিজউডস্থ ফিউনারেল হোমে রাখা হয়েছে।

মরহুম মাহফুজুর রহমানের মরদেহ নিউইয়র্কের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল অথবা নিউজার্সীতে দাফন করার চিন্তাভাবনা চলছে। মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী তার ছোট ভাই ইবনে ফারুক মাসুদুর রহমান নিউইয়র্কের পথে। তিনি নিউইয়র্কে পৌছার পরই মহাফুজের দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোববার (২৮ অক্টোবর) তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে, তবে সময় এখনো চুড়ান্ত হয়নি। 

২০১৫ সনের ২২ নভেম্বর নিউইয়র্কের বাসায় ব্রেন হেমারেজের শিকারের পর পরই মাহফুজকে এলমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর পরবর্তীতে তাকে ম্যানহাটান এর প্রেস বাইটেরিয়ান হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ফ্লাশিং হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ফ্লাশিং-এর একটি রিহাব সেন্টারে তাকে ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ ফ্লাশিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ব্রেন হেমারেজের পর থেকেই তিনি সঙ্গাহীন অবস্থান মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা, মিষ্টভাষী ব্যক্তিত্ব খুলনা’র সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুর রহমান গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর ইতিমধ্যে তার সংসারে ঘটে যায় অনেক বিয়োগান্তক ঘটনা। গত বছর তার স্ত্রী নাদিয়া আফরোজ সুমি (৩৯) নিউইয়র্কেই আত্মহত্যা করেন। বাবার অসুস্থতা আর মায়ের আত্মহত্যার পর তাদের একমাত্র পুত্র সামিন ফারুকি থাকেন চাচার কাছে।

গত সপ্তাহে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পুনরায় ফ্লাশিং হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গত ১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু ও যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ তাকে দেখতে হাসপাতালে যান।


এলএবাংলাটাইমস/এনওয়াই/এলআরটি