নিউইয়র্ক

রাষ্ট্র দ্রোহী কাজে উস্কানি দাতা, ষড়যন্ত্রকারী মান্না-খোকা – মান্নার গ্রেফতার”-যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আনন্দ প্রকাশ

নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার করেছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। মাহমুদুর রহমান মান্নার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়ে গভীর আনন্দ প্রকাশ করেন এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সাম্প্রতিক অবরোধ এর নামে সারা বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য, পেট্রল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের মূলহোতা বিএনপি, জামাত এর সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারী মান্না-খোকা সহ সকল লেবাসধারী সুশীলদের দ্রুত জনগনের কাঠগড়ায় বিচারের আহবান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি কর্তিৃক প্রচারিত।একয়ৌথ বিবৃতিতে বলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আকতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের এইসব রাষ্ট্র দ্রোহী কাজে উস্কানি দাতা, মদদদাতা এদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি সাধারণ জনগণ স্বস্তি পাবে। খোকা মান্নার টেলিফোন সংলাপ ফাস হওয়াতে এইসব টক শো বাজদের আসল রূপ প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সুশীল ও নাগরিক সমাজের সদস্য মাহমুদুর রহমান মান্নার দুটো টেলিফোনালাপ ফাঁস হয়ে গেছে।বিবৃতিতে তাঁরা আরোও বলেন-সুশীল নামের আড়ালে তারা বাংলাদেশের সাধারণ শান্তি কামী জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে পেট্রল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মান্নার মত আরো যারা জাতীয় শয়তান, মুখোশধারী সুশীল তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিহত করার আহবান জানান। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী হাতকে শক্তিশালী করে এই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে এবং সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।গতকালই মন্ত্রিসভার বৈঠকে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। সেনা হস্তক্ষেপ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার বিষয়ে তার টেলিফোন কথোপকথন নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা তুলেন কয়েকজন মন্ত্রী। বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে মান্নার কথোপকথনের ওই অডিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র। সূত্র জানায়, সংবাদমাধ্যমে মাহমুদুর রহমান মান্নার দু’টি পৃথক অডিও প্রকাশ এর বিষয়টি প্রথমে একজন সিনিয়র মন্ত্রী উপস্থাপন করেন। এ কথোপকথনকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনেকেই মাহমুদুর রহমান মান্নাকে এসময় গ্রেফতারের দাবি জানান। এসময় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য মান্নাকে বিএনপির ‘পেইড এজেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, মন্ত্রীদের ক্ষোভের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কথোপকথনের যে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে তারা একটা ষড়যন্ত্র নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। এখন আপনারাই চিন্তা করেন, ভেবে দেখেন, কি করা যায়। সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য মাহমুদুর রহমান মান্নার আগের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। তারা বলেন, মান্না একেক সময় একেক দল করেছেন। কখনও জাসদ, কখনও বাসদ, এরপর আওয়ামী লীগ-এভাবে দল বদল করেছেন। তার নিজের রাজনৈতিক কোনো চরিত্র নেই। এ নিয়ে হাস্যরসও হয় মন্ত্রিসভায়।