নিউইয়র্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাহসী নারীর পুরস্কার গ্রহণ সুন্দর - বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নাদিয়া শারমিনের

একটি সুন্দর বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আন্তর্জাতিক নারী সাহসিকতার (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড-আইডব্লিউওসি) পুরস্কার পাওয়া একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলের অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।পুরস্কার গ্রহণকালে বিশ্বের অন্যান্য নারী অধিকার কর্মীদের সঙ্গে মিলে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করার ঘোষণা দিয়ে নাদিয়া শারমিন বলেন, সকলে মিলে একটি বৃহত্তর শক্তি গড়ে তোলা যেতে পারে। যার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সহিংসতা বন্ধ ও বিশ্বকে পরিবর্তন করা সম্ভব। তাই আজ থেকে সবাইকে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তীব্র সমালোচনা, হুমকি আর বিপদ সত্ত্বেও আমাদেরকে সত্য, ন্যায়বিচার ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নারী ইস্যু বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ ক্যাথেরিন এম রাসেল এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিসোর্সেস এর ডেপুটি সেক্রেটারি হিদার হিগিনবটম উপস্থিত ছিলেন। অ্যাম্বাসেডর রাসেল বলেন, নাদিয়ার যে সাহসী কাজ করেছে এবং করছেন সেজন্য আমরা তার পাশে আছি।২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আইডব্লিউওসি নারীদের সাহসিকতার জন্য এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এ বছর নাদিয়া শারমিন ছাড়াও বিভিন্ন দেশের আরো ৯ সাহসী নারীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডেপুটি সেক্রেটারি হিদার হিগিনবটম। নাদিয়া শারমিন দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে সাহসিকতার জন্য এ পুরস্কার পেলেন।
পুরস্কার গ্রহণের পর নাদিয়া শারমিন পররাষ্ট্র দফতরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নারী সাংবাদিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীদের সঙ্গেও সাক্ষাত্ করেন তিনি। জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠেয় ‘৫৯তম কমিশন অব দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন’ সম্মেলনেও যোগ দেবেন তিনি। এ সম্মেলনে সারাবিশ্বের নারী অধিকারকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন।প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলাকালে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন নাদিয়া শারমিন।