নিউইয়র্ক

নিউইয়র্কে হেইট ক্রাইমের শিকার বাংলাদেশী

নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধুষ্যিত ওজনপার্কের ৭৭স্ট্রিটের লিবার্টি আর গ্ল্যানমোরের মধ্যে খানে গত ২রা অক্টোবর বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫০মিনিটের সময় হেইট ক্রাইমের শিকার হন প্রবাসী বাংলাদেশী নোয়াখালী চাটখিলের তারেক আজিজ নামের এক প্রবাসী।
তারেক আজিজ তার ডিউটি পালন করতে ৭৭স্ট্রিট আর লিবার্টির কর্ণারের ইয়ামনী গ্রোসারী থেকে মাল ক্যারি করে যখন ডেলিভারি দিতে যাচ্ছিলেন,ঠিক তখনই দুই কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্ত পথে বাধা সৃষ্টি করে তার উপর উপর্যুপরি হামলাচালায়।দুর্বৃত্তদের আকস্মিক হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত তিনি।তার হাউমাউ আর কান্নাকাটির শব্দ  শুনে পাশ্ববর্তী বাসার লোকজন এগিয়ে আসলে মূহুর্তের মধ্যেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং তারা তারেক আজিজের কাছ থেকে নগদ ডলার সহ তার ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ আর ইমার্জেন্সি বিভাগের এম্বুলেন্স আসলে তাকে প্রাইমারি চিকিৎকসা শেষে হাসপাতালে নিয়ে যায়।বর্তমানে তিনি জ্যামাইকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।তবে তার মাথায় চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে,যার দরুন প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ দুর্বৃত্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য যে গত ২রা সেপ্টেম্বর ওজনপার্কের
প্বার্শবর্তী এলাকা রিচমন্ড হিল নামক স্থানে দুর্বৃত্তদের হামলায়   নিহত হন (সন্দীপের) যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবর উদ্দিনের ছেলে শাহেদ উদ্দিন (২৭)।
এছাড়াও গেল এক মাসের ব্যবধানে একই স্থানে চার চারটি হেইট ক্রাইমের ঘটনা ঘটেছে।তাতে নিরীহ চারজন প্রবাসী বাংলাদেশী  হামলার শিকার হয়েছেন।

তাই ওজনপার্কে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ব বেড়ে যাওয়ায় কমিউনিটিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয় কমিউনিটি চরম ভাবে শঙ্কিত। এহেন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কমিউনিটি শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন যদি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়,তাহলে বাংলাদেশী কমিউনিটির সকল জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দুর্বার গতিতে আন্দোলন গড়ে তোলারও হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।