নিউইয়র্ক

নিউইয়র্কের ওজনপার্কে হামলা-ছিনতাই ঘটনায় আতঙ্কে বাংলাদেশিরা

নিউইয়র্কে বেড়েই চলছে হেইট ক্রাইমসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড। বিশেষ করে মুসলিমরা এই হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন।

বছরের শুরুতেই শুধু ওজনপার্কে এই হামলার শিকার হয়েছেন অনেক মুসলিম বাংলাদেশি। যাদেরকে হামলা করে সবকিছুই নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

আজ থেকে ১০-১৫ বছর পূর্বে সিটি লাইন অথবা ওজন পার্ক যাই বলা হোক না কেনো, সে সময়কার স্থানীয় সামাজিক পরিস্থিতি ও আজকের চেহারা রাত-দিন ব্যবধান। সে সময় স্থানীয় ড্রিউ স্ট্রিটের (Drew St.) পরে একটি আলাদা পরিবেশ সবাই মনে করতো। বিকাল ৫টার পরে অনেকে কোন জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে যেত না। তাও আবার একা নয়, সঙ্গে ২/৩ জনকে নিয়ে। আজকে ড্রিউ স্ট্রিট থকে পরবর্তী ৮/১০ স্ট্রিট জমজমাট ব্যবসা ও ঘরবাড়ি নিয়ে। রাত-দিনের কোন বালাই নেই। সেদিনের চিত্র আজকের নতুন ইমিগ্র্যান্টদের কাছে রূপকথার গল্প।

সে সময় ছিল দুঃসহ ও ভীতিকর পরিস্থিতি। সে সময়কার ফুটবল খেলোয়াড় আব্দুল আহাদ, সাংবাদিক মিজান, শিবলী হত্যা প্রমাণ করে দেয় বাস্তব চিত্র। আরাজকতা, ছিনতাই, হিংসা, মারামারি প্রায়ই ঘটতো। সাম্প্রতিককালে ছিনতাই, মারামারি, খুন পুনরায় সে পূর্বের ভীতিকর, নিরাপত্তাহীনতা সময়ে ফিরে যাওয়ার আভাস দিচ্ছে।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে ধর্মীয় এবং জাতিগত বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আতঙ্কিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। এমনকি গত বছর ২০১৯ সালে এবং ২০২০ সালে ছিনতাই, হামলার শিকার অনেকেই বলেছেন এর প্রতিকার কবে হবে? স্থানীয় পত্রিকা আমেরিকান মেইন স্ট্রিম মিডিয়াও খবর প্রকাশ করেও থামানো যাচ্ছে না দুর্বৃত্তদের হামলা। কে কখন কোথায় এই হামলার শিকার হচ্ছেন সেটাও মুশকিল। আর এই আতঙ্ক নিয়ে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত আছেন ওজনপার্কবাসি।

২০১৯ সালে ২ অক্টোবর ওজন পার্কের গ্রিন মোড় ও ৭৭ স্ট্রিট লিবার্টি এভিনিউর মধ্যখানে রাত আনুমানিক ২টার সময় বাংলাদেশি তারেক আজিজ দুষ্কৃতকারীদের হাতে আক্রান্ত হন। এছাড়া গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার ওজনপার্কের একটি স্কুলে বাংলাদেশি এক স্কুল ছাত্র আক্রমণের শিকার হয়েছে।

বছরের শুরুতে ১১ জানুয়ারি নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রকওয়ে বলুভার্ড/১০৭ স্ট্রিটে কাজে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন সালমান হুসাইন নামের আরেক বাংলাদেশি।

৯ ফেব্রুয়ারি ৭২ বছরের গ্লেনমোর/৭৬ স্ট্রিটে ছিনতাই ও শিকার হন এক বাংলাদেশি। যিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।