নিউইয়র্ক

প্রথম বিতর্কে জয়ী বাইডেন: জরিপের ফলাফল

প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্প ও বাইডেন কেউ কাউকেই ছেড়ে কথা বলেননি। পুরো বিতর্ক জুড়েই একজন আরেকজনের দিকে তীর্যক বাক্য ছুঁড়েছেন, ছুটিয়েছেন কটু কথার তুবড়ি। দুইজনের কেউই গঠনমূলক আলোচনা করে ভোটারদের আশ্বস্ত না করতে পারলেও আপাতদৃষ্টিতে বিতর্কে জয়ী হয়েছে জো বাইডেন- এমনই দেখা গেছে জরিপে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টায় ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ ইউনিভার্সিটি এন্ড ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এই বিতর্কের সঞ্চালনায় ছিলেন ফোক্স নিউজের সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেস। 

উপস্থিত দর্শক, টিভি ক্যাবল ও নিউজ এজেন্সির চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে যারা সরাসরি প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক দেখেছেন, তাদের উপর করা জরিপে দেখা গেছে, সবকিছু মিলিয়ে ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। অর্থাৎ আপাতদৃষ্টিতে বিতর্কে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। 

সংবাদমাধ্যমগুলোর জরিপে দেখা গেছে, ৯০ মিনিটের বিতর্কে দুই প্রার্থীর বক্তব্য শোনার পর ৬০ শতাংশ দর্শক মনে করেন, প্রথম বিতর্কে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। অপরদিকে মাত্র ২৯ শতাংশ দর্শক মনে করেন, ট্রাম্পই প্রথম বিতর্কে বাজিমাত করেছেন। বাকি ১১ শতাংশ দর্শক কারো প্রতিই সমর্থন জানাননি। 

এছাড়াও, প্রায় অধিকাংশ দর্শকই মনে করেছেন, প্রথম বিতর্কে ট্রাম্প কিংবা বাইডেন কেউই প্রকৃতপক্ষে বিতর্কের আসল উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে পারেননি। ট্রাম্প কিংবা বাইডেন- দুইজনের কেউই ভোটারদের আশ্বস্ত করতে পারেননি। বরং পুরো বিতর্ক জুড়ে গালাগালি আর ব্যক্তি আক্রমণের জেরে বিতর্ক হয়ে গেছে নেতিবাচক। দুইজন প্রার্থীর ভাবমূর্তি আগের থেকে ক্ষুণ্ণ হয়ে এই বিতর্কের কারণে- এমনটাই মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। 

বাসিন্দাদের উপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ দর্শক মনে করেছিলেন জো বাইডেন বিতর্কে আরো গঠনমূলক ও বাস্তবিক কিছু তুলে ধরবেন। অপরদিকে ৪৩ শতাংশ দর্শক আশা করেছিলেন ট্রাম্প এই বিতর্কের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দিবেন। 

জরিপে দেখা গেছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জো বাইডেনের ওপর বেশিসংখ্যক মানুষ আস্থা রাখছে। জাতিগত বৈষম্যের বিষয়ে বাইডেনের ওপর আস্থা রাখছেন ৬৬ শতাংশ ভোটার। ট্রাম্পের ওপর একই বিষয়ে আস্থা রাখছেন ২৯ শতাংশ ভোটার। স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাতে বাইডেন ও ট্রাম্পের ওপর ভোটার আস্থার হার যথাক্রমে ৬৬ ও ৩২ শতাংশ।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাইডেন ও ট্রাম্পের ওপর ভোটার আস্থার হার যথাক্রমে ৬৪ ও ৩৪ শতাংশ। আর সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনোনয়নের বিষয়েও বাইডেনের ওপরেই বেশি আস্থা রাখছেন ভোটাররা। এ ক্ষেত্রে বাইডেনের ওপর আস্থা রাখছেন ৫৪ শতাংশ ভোটার। আর ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখছেন ৪৩ শতাংশ ভোটার।

তবে অর্থনীতির প্রশ্নে কিছুটা ভালো অবস্থায় রয়েছেন ট্রাম্প। এই ইস্যুতে তাঁর ওপর আস্থা রাখছেন ৪৮ শতাংশ ভোটার। একই বিষয়ে বাইডেনের আস্থা রাখছেন ৫০ শতাংশ ভোটার।

কিন্তু এই বিতর্কের উপর চালানো জরিপের ফলাফল আসল নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে না বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে, সামনের বিতর্কে প্রার্থীদের আলোচনা কেমন হবে, সেটিও মূল বিষয় বলে বিবেচিত হবে। 


এলএবাংলাটাইমস/ওএম