নিউইয়র্ক

নির্বাচনে ইরান ও রাশিয়ার বাগড়া: তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের ভোটারদের বেশকিছু তথ্য ইরান ও রাশিয়া হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে 'মেইল ইন ভোট' বিষয়ে স্প্যামিং এর মাধ্যমে অপতৎপরতা চালাচ্ছে দেশ দুইটি - এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান জন র‍্যাটক্লিফ। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এইসব তথ্য জানান জন রেটক্লিফ। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিআই প্রধান ক্রিস রে। নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে ভোটারদের তথ্য ইরান ও রাশিয়ায় বেহাত হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রকাশের পর জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নতুন করে ভাবনার উদয় হয়েছে। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে বিতর্ক সৃষ্টি করা, নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে জনগণের আস্থা নষ্ট করা ও নির্বাচনী সহিংসতা উস্কে দিতেই এই ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছেন হ্যাকার ও স্প্যামাররা। জন রেটক্লিফ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের রেজিষ্ট্রেশন সাধারণত উন্মুক্ত থাকে। সেই তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ভোটারদের ভুয়া ইমেইল পাঠিয়ে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ডেমোক্রেটিক ভোটাররা দাবি করছেন, এসব মেইল সাধারণত ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরাই পাঠাচ্ছে। এসব মেইলে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান জন রেটক্লিফ দাবি করেন, মূলত নির্বাচনে ট্রাম্পের ক্ষতি করাই ইরান ও রাশিয়ার উদ্দেশ্য। ট্রাম্পের সমর্থক গোষ্ঠীর নাম 'প্রাউড বয়েজ' ব্যবহার করে এইসব মেইল মূলত পাঠাচ্ছেন বিদেশী হ্যাকার এবং স্প্যামাররা। এর আগে এফবিআই প্রধান ক্রিস রে সংবাদমাধ্যমে জানান, নির্বাচনে বিদেশী হস্তক্ষেপের বিষয়টি এক প্রকার সুনিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া মাইক্রোসফট কর্পোরেশন বিভিন্ন সময় এসব সাইবার হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ক্রেমলিন সমর্থকেরা হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণায় ক্ষতি করার অভিযোগ এসেছিলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সাধারণত গতানুগতিক নির্বাচনের থেকে আলাদা হবে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবারের নির্বাচনে সহিংসা হওয়ার আশংকা করছেন প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বাহিনী।
এলএবাংলাটাইমস /ওএম