নিউইয়র্ক

খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নিউইয়র্কে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নিউইয়র্কে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার ও বাদল সমর্থিত নিউইয়র্ক সিটি বিএনপি। সভায় দলীয় নেতা—কমীর্দের মধ্যে যাদের মা—বাবা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্যও দোয়া করা হয়। সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টের মিলনায়তনে গত সোমবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা অবিলম্বে বিদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবী এবং শেখ হাসিনার সরকার পতনে দেশ ও প্রবাসে এক দফার আন্দোলন গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায়—দায়িত্ব শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে। খবর ইউএনএ’র।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ—সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও মূলধারার রাজনীতিক আকতার হোসেন বাদল। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা শাওন বাবলা, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন ঠাকুর, যুবদল নেতা সারোয়ার খান বাবু, সিটি বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা এমজি এইচ বাবুল, সহ সভাপতি মাহবুব রহমান, সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জালাল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দোয়া—মোনাজাত পরিচালনা করেন আশরাফউদ্দিন ঠাকুর।
আলোচনায় অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যু নেই। তিনি দেশের ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজতৈক ব্যক্তিত্ব। তিনি চাইলে আপোষ করে আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু দেশ—জাতির স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি। তিনি তাঁর আশু রোগমুক্তি কামনা এবং দেশে ও একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবী জানান।
আকতার হোসেন বাদল বলেন, নানা ষড়যন্ত্রের কারণে দেশ ও প্রবাসে বিএনপি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বেগম খালেদা জিয়াও সেই ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি আমাদের মায়ের মতো। তার জীবন রক্ষায় সবকিছু করতে হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র আর সঙ্কট মোকাবেলায় সাচ্চা বিএনপির নেতা—কমীর্দের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। এখন সময় এসেছে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের এক দফার আন্দোলন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতাদের কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি বিএনপি’র কোন কমিটি নয়। আর যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে প্রবাসে বিএনপি সফলতা দেখাতে পারছে না। সবাই পদ—পদবী নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, কমিটির জন্য কেন্দ্রের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কেনো। আমরাই কমিটি করতে পারি। সিটি বিএনপি’র কমিটি হয়েছে। আগামীতে বিএনপির ত্যাগী নেতা—কমীর্দের নিয়ে ষ্টেট ও বিএনপি’র কমিটি গঠন করা হবে।
শাওন বাবলা বলেন, আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসা বিএনপির কমীর্ নই। পারিবারিকভাবেই আমরা বিএনপি করি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে যোগ্য নেতা হিসেবে আধ্যাপক দেলোয়ার—বাদলের বিকল্প নেই। এখন দরকার সরকার পতনে ‘এক দফার’ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
আশরাফউদ্দিন ঠাকুর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের মূলায়নের সময় এসেছে। এখন সময় বিভেদ—বিভক্তি নয়, ঐক্যের।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এনওয়াই

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]