নিউইয়র্ক

নিউইয়র্কে হামলার শিকার বাংলাদেশি ক্যাবচালক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আবারও দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন আতাউর রহমান নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি ক্যাবচালক। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

শনিবার রাতে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ব্রঙ্কসের পার্ক চেস্টারে বিদ্বেষমূলক হামলার (হেইট ক্রাইম) শিকার হয়েছিলেন প্রবাসী মুজিবুর রহমান।

১২৪৫ ভার্জিনিয়া অ্যাভিনিউতে বসবাস করেন আতাউর রহমানের ছেলে লিমন। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো তাঁর বাবা ব্ল্যাক ক্যাব চালাচ্ছিলেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ক্যাসেল হিল সাবওয়ের কাছ থেকে কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবক গাড়িতে ওঠেন। তিনি ওয়েস্ট চেস্টার অ্যাভিনিউ এবং সেন্ট লরেন্স অ্যাভিনিউয়ের কোনায় ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে নামিয়ে দেন। যাত্রী নামানোর পর আতাউর রহমান দেখতে পান পেছনের দরজা খোলা। গাড়ি থামিয়ে দরজা বন্ধ করতে গেলেই ওত পেতে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ দুই যুবক আতাউরের ওপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। হামলাকারীরা তাঁকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় কাচের বোতলের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আতাউর রহমান। হামলায় আতাউর রহমানের ডান কান কেটে গেছে, কপাল ফেটে গেছে এবং কয়েকটি দাঁত ভেঙে গেছে। দুর্বৃত্তরা এ সময় আতাউরের কাছ থেকে ১ হাজার ৩০০ ডলারসহ কয়েকটি ক্রেডিট কার্ডও নিয়ে গেছে। সড়কের পাশে অজ্ঞান পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে নিউইয়র্কের ৪৩ প্রিসিংকটে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ শনিবার রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আতাউর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রঙ্কসের পার্ক চেস্টারে বসবাস করছেন।

হামলার খবর পেয়ে আতাউর রহমানকে তাঁর বাড়িতে দেখতে যান কমিউনিটি নেতা এন মজুমদার, সিলেট দক্ষিণ সুরমা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খলিলুর রহমান, সহসভাপতি জন পারভেজ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি মো. শামীম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আহমদ, কমিউনিটি প্রমুখ।