নিউইয়র্কে প্রবাসী নাগরিক সমাজের মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি আলোচনাকালে বলেছেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে আইনের শাসন নেই, বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংক লুটপাট করে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। তার কোন বিচার নেই। অথচ ‘তথা কথিত’ দূর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাঁর মামলা ও রায় ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার আর সংবাদপত্র ও বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে বক্তারা খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবী করেন।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসস্থ বাংলাদেশ প্লাজায় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রবাসী নাগরিক সমাজ-এর ব্যানারে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। খবর ইউএনএ’র।
মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ, লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শওকত আলী, প্রবীণ সাংবাদিক কাজী শামসুল হক, সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী ডা. মিনা ফারাহ, বিশিষ্ট গবেষক ও সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক-এর সেক্রেটারী মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম, বিশিষ্ট লেখক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ইমরান আনসারী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আজহারুল হক মিলন, হাসানুজ্জামান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, জামান তপন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ চরম সঙ্কটে পতিত। স্বাধীনতার পর থেকেই নানা সঙ্কটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। দেশের এই সঙ্কটে দেশপ্রেমিক কারো চুপ করে থাকার সময় নেই। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দেশে বাকশালী কায়দায় একনায়কতন্ত্র চলছে। বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে শেখ হাসিনার সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে। কোন কোন বক্তা এই ষড়যন্ত্রের জন্য ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ভূমিকাকেও দায়ী করেন। ভারতের এই আগ্রাসী তৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর জন্য বক্তারা প্রবাসী সহ দেশবাসী বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রতি অহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার ক্ষমতা ধরে রেখে বাংলাদেশে একনায়কত্ত কায়েম করে চলেছে। জবাবদিহীতা না থাকায় দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় লুটপাট সহ অনিয়মনের মহামারি আকার ধারণ করেছে, পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে, অব্যাহত গুম ও খুনে বাংলাদেশ আতংকের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাবে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। বিরোধী দল ও মতকে নির্মূল করতেই সরকারের প্রধান কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সরকারের এই ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান জানান বক্তারা। দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, একজন সংখ্যালঘু বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
সভায় কোন কোন বক্তা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে ‘ভিত্তিহীন’ মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারের প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি দাবী জানান।
সভায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’-এর উপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশের নিয়ে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন সহ অন্যান্য কর্মসূচী গ্রহণ এবং ইউএস কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রতিনিধি প্রেরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এলএবাংলাটাইমস/এনওয়াই/এলআরটি
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসস্থ বাংলাদেশ প্লাজায় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রবাসী নাগরিক সমাজ-এর ব্যানারে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। খবর ইউএনএ’র।
মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ, লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শওকত আলী, প্রবীণ সাংবাদিক কাজী শামসুল হক, সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী ডা. মিনা ফারাহ, বিশিষ্ট গবেষক ও সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক-এর সেক্রেটারী মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম, বিশিষ্ট লেখক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ইমরান আনসারী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আজহারুল হক মিলন, হাসানুজ্জামান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, জামান তপন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ চরম সঙ্কটে পতিত। স্বাধীনতার পর থেকেই নানা সঙ্কটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। দেশের এই সঙ্কটে দেশপ্রেমিক কারো চুপ করে থাকার সময় নেই। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দেশে বাকশালী কায়দায় একনায়কতন্ত্র চলছে। বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে শেখ হাসিনার সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে। কোন কোন বক্তা এই ষড়যন্ত্রের জন্য ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ভূমিকাকেও দায়ী করেন। ভারতের এই আগ্রাসী তৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর জন্য বক্তারা প্রবাসী সহ দেশবাসী বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রতি অহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার ক্ষমতা ধরে রেখে বাংলাদেশে একনায়কত্ত কায়েম করে চলেছে। জবাবদিহীতা না থাকায় দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় লুটপাট সহ অনিয়মনের মহামারি আকার ধারণ করেছে, পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে, অব্যাহত গুম ও খুনে বাংলাদেশ আতংকের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাবে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। বিরোধী দল ও মতকে নির্মূল করতেই সরকারের প্রধান কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সরকারের এই ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান জানান বক্তারা। দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, একজন সংখ্যালঘু বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
সভায় কোন কোন বক্তা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে ‘ভিত্তিহীন’ মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারের প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি দাবী জানান।
সভায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’-এর উপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশের নিয়ে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন সহ অন্যান্য কর্মসূচী গ্রহণ এবং ইউএস কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রতিনিধি প্রেরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এলএবাংলাটাইমস/এনওয়াই/এলআরটি