ধর্ম

নামাযে কিবলামুখী হওয়ার হুকুম

নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার অন্যতম শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধ হবে না। যারা সরাসরি কিবলা দেখতে পায় না, তাদের জন্য সরাসরি বাইতুল্লামুখী হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের জন্য আবশ্যক হল জিহাতে কিবলা তথা কিবলামুখী হওয়া। আর যারা সরাসরি বাইতুল্লাহ দেখে তাদের জন্য সরাসরি বাইতুল্লাহমুখী হওয়া আবশ্যক। উলামায়ে কেরাম কিবলামুখী হবার একটি মূলনীতি বের করেছেন, তা হল বাইতুল্লাহ থেকে উভয় পাশ হিসেবে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেলে নামায হবে না। ডান পাশে ৪৫ ডিগ্রি ও বাম পাশে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে যাবার আগ পর্যন্ত নামায শুদ্ধ হবে। তবে এর চেয়ে বেশি ঘুরে গেলে নামায হবে না। নামাযে কিবলামুখী হওয়া আবশ্যকীয় বিষয়। এটি ছাড়া নামাযই শুদ্ধ হয় না। ইমাম ও মুক্তাদী সবার জন্যই কিবলামুখী হওয়া জরুরী। যার কিবলা ঠিক হবে না, তারই নামায শুদ্ধ হবে না। ইমামের ঠিক থাকা অবস্থায় যদি মুক্তাদীর কিবলা ঠিক না থাকে, তাহলে মুক্তাদীর নামায শুদ্ধ হবে না। তাই সবারই কিবলা ঠিক করে নামায শুরু করতে হবে। তবে তিনটি মাসয়ালায় এর ব্যতিক্রম হবে: যদি কেউ অক্ষম হয়। যেমন অসুস্থ ব্যক্তি যার চেহারা কিবলার দিকে নয় এবং যার পক্ষে কিবলামুখী হওয়া সম্ভবপর নয়। এমতাবস্থায় তার কিবলামুখী হওয়ার বিধান মওকুফ হবে। যদি কেউ তীব্র ভয়ের মধ্যে থাকে। যেমন— কোন মানুষ তার শত্রু থেকে পালাতে থাকে, কিংবা কোন হিংস্র প্রাণী থেকে পালাতে থাকে, কিংবা বন্যার পানি থেকে পালাতে থাকে। এক্ষেত্রে যে দিকে তার চেহারা থাকে সে দিকে ফিরে নামায পড়বে। সফর অবস্থায় নফল নামাযের ক্ষেত্রে; সেটা বিমানে হোক কিংবা গাড়ীতে হোক কিংবা উটের পিঠে হোক; এক্ষেত্রে তার চেহারা যে দিকেই থাকুক না কেন; যেমন- বিতিরের নামায, কিয়ামুল লাইল ও ইশরাকের নামায ইত্যাদি।মুকীম ব্যক্তির মত মুসাফিরেরও উচিত সকল নফল নামায আদায় করা; কেবল যোহর, মাগরিব ও এশার সুন্নত নামাযগুলো ব্যতীত। কারণ সফরে এ নামাযগুলো না-পড়াই সুন্নত।