খেলাধুলা

রেকর্ড গড়ে শেষ ষোলোয় ইংল্যান্ড

প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করা হ্যারি কেন এবার আরেক ধাপ এগিয়ে করলেন হ্যাটট্রিক। জোড়া গোল করলেন জন স্টোনস। তাতে স্রেফ উড়ে গেল বিশ্বকাপের নবাগত দল পানামা। টানা দুই জয়ে শেষ ষোলোয় উঠে গেল ইংল্যান্ড।

নোভগোরাদে রোববার ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি ইংল্যান্ড জিতেছে ৬-১ গোলে। বিশ্বকাপে এটাই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়। বিশ্বকাপে তো বটেই, মেজর টুর্নামেন্টে এই প্রথম কোনো ম্যাচে চারটির বেশি গোল করল ‘থ্রি লায়ন’রা।

ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হলো বেলজিয়ামেরও। দুই দলই তাদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছে। পানামা ও তিউনিসিয়া তাদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল।

ইংল্যান্ড ছয় গোলের পাঁচটিই করেছে প্রথমার্ধে! বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই নিয়ে মাত্র পঞ্চমবার কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে পাঁচ বা এর বেশি গোল করল কোনো দল। সবশেষ ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৭-১ গোলে জয়ের ম্যাচে প্রথমার্ধে পাঁচ গোল করেছিল জার্মানি।

অষ্টম মিনিটে গোলের শুরুটা করে দিয়েছিলেন স্টোনস। কাইরান ট্রিপিয়ার কর্নার থেকে ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডারের হেড খুঁজে নেয় পানামার জাল। ১৯৮২ সালে ট্রেভোর ফ্রান্সিসের পর ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে গোল করলেন স্টোনস।

২০ মিনিটে পানামার ডিফেন্ডার এসকোবার নিজেদের বক্সে জেসে লিনগার্ডকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট-কিকে ইংল্যান্ডের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক কেন। ১৯৬৬ সালে রজার হান্ট ও ১৯৮৬ সালে গ্যারি লিনেকারের পর প্রথম ইংল্যান্ড খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে তিন বা এর বেশি গোল করলেন টটেনহামের এই ফরোয়ার্ড।

৩৬ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন লিনগার্ড। অ্যাশলে ইয়াং ও রাহিম স্টার্লিং ওয়ান-টু খেলে বল দেন লিনগার্ডকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার।

৪০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন স্টোনস। স্টার্লিং প্রথম সুযোগে গোল করতে ব্যর্থ হলে স্টোনস খুব কাছ থেকে হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন। আর যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কেন। স্কোরলাইন হয়ে যায় ৫-০!

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬২ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কেন। মাত্র তৃতীয় ইংল্যান্ড খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ের আসরের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন জিওফ হার্স্ট। ১৯৮৬ সালের টুর্নামেন্টে পোল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন গ্যারি লিনেকার। 

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৪) ও রোমেলু লুকাকুকে (৪) ছাড়িয়ে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাও এখন কেন (৫)। প্রথম ম্যাচে তিনি দুই গোল করেছিলেন তিউনিসিয়ার বিপক্ষে। 

হ্যাটট্রিক করার পরই কেনকে উঠিয়ে জ্যামি ভার্ডিকে মাঠে নামান ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। বাকি সময়ে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও ইংল্যান্ড অবশ্য আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ৭৮ মিনিটে বিশ্বকাপে পানামার প্রথম গোল করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান ফেলিপে বালোয়।