খেলাধুলা

সুইসদের বিদায় করে কোয়ার্টারে সুইডেন

১২ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরে আসা সুইডেন রাশিয়া বিশ্বকাপে এগিয়ে গেছে আরেক ধাপ। এমিল ফর্সবার্গের একমাত্র গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের রানার্সআপরা।

গত তিন বিশ্বকাপে সুইডেন প্রথমার্ধ ড্র করলে সেই ম্যাচ জিতে যায়- এমন পরিসংখ্যানই দিল ফিফার ওয়েবসাইট। এমনকি গত তিন দেখায় স্ইুজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় সুইডেনেরই। ব্যাতিক্রম ছিল না মঙ্গলবারও। সামর্থ এবং পরিসংখ্যান অনুযায়িই সুইডেন ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ডকে। ২৪ বছর পর সুইডেন নিশ্চিত করল কোয়ার্টার ফাইনাল।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে সুইডেনের শেষ ষোলর ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে কোন গোলই হলো না। সুইডিশরা অপেক্ষাকৃত বেশি সুযোগ তৈরির পাশাপাশি সহজ গোলের সুযোগও নস্ট করেছে। বল দখলে এগিয়ে ছিল সুইডিসরা। শুরুর মাত্র ৮ মিনিটে প্রথম চাপটা সুইস ডিফেন্সে দিলেন সুইডিশরা। মার্কাস বার্গেও শটটা ছিল লক্ষ্যহীন। তার ঠিক আগেই সুইজারল্যান্ডের স্টিভেন জুবের বলটি তুলে দিলেন সুইডেনের গোলকিপারের হাতে। সেন্ট পিটার্সবার্গের গ্যালারিতে ছিল হলুদের আধিক্য। আর সুইডেন ১০ মিনিটে বার্গের শট ডিফেন্সে ঠেকালেন ম্যানুয়েল আকানজি। ফিরে আসা বল বারের উপর দিয়ে পাঠালেন আলবিন ইকডাল। সুইজারল্যান্ড ও সুইডিশদের আক্রমণগুলো ছিল পাল্টাপাল্টি। সুইস গোলকিপার ইয়ান সমার নিশ্চিত একটি গোল বাঁচিয়ে দিলেন ২৭ মিনিটে। মার্কাস বার্গের শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে হাতের তালু দিয়ে রক্ষা করেন সমার।

৩৮ ও ৪০ মিনিটে ঘটল দুটি ঘটনা গোল করা উচিৎ ছিল বেরিম ডিজমেইলির। পেনাল্টি এরিয়ার খুব কাছ থেকে বলটাকে মারলেন বারের উপর দিয়ে। তীব্র হতাশা সুইসদের। দুই মিনিট পর সুইডিশ মিডফিল্ডার আলবিন ইকডাল কিভাবে ওই গোল মিস করলেন। তা এক কথায় দু:স্বপ্ন। গোল পোস্টের ৬ গজ দুর থেকে গোলকিপারকে একা পেয়েও বারের উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে হতবিহ্বল করে দিলেন দলকে। গোলশুন্য থেকেই বিরতিতে যায় উভয় দল।

বিরতি থেকে ফিরে আরো ধারালো আক্রমনে যায় সুইস ও সুইডিসরা। সুইসরা টানা কয়েকটি আক্রমণ করেও ফিনিশিং দিতে পারল না। সুইডেনও কাঁপিয়ে দিয়ে আসছিল প্রতিপক্ষকে। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে সুইডেনকে ১-০ লিড এনে দেন এমিল ফোর্সবার্গ। পরিকল্পিত ও গোছানো আক্রমণে বাঁ পাশ থেকে আক্রমণ সুইডিশদের। বড় ডি এর ঠিক উপরটায় বল পেয়ে সামান্য সরে জায়গা বের করেই প্রবল গতির শট নিলেন তারকা এমিল ফোর্সবার্গ স্ইুস রক্ষনের প্লেয়ার আকানজির পায়ে লেগে গোল। সুইস গোলকিপার ইয়ান সমারের দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না (১-০)।

বাকি সময়টা সুইসরা জান প্রান বাজি রেখে খেলতে থাকে। ৭০, ৭৮, ৮৪ মিনিটে পাওয়া সুযোগগুলি কাজে লাাগতে পারেননি শাকিরি ও বদলি খেলোয়াড় সেফেরোভিক। ইনজুরি সময়ে (৯০+৪) মাইকেল ল্যাং ডি সিমানার কাছাকাছি অবৈধভাবে ধাক্কা দেন সুইডেনের একদালকে। লাল কার্ড দেখে ফিরে গেলন ল্যাং। রেফারির পেনাল্টির বাঁশি। কিন্তু ভিএআরে সেটি ফ্রি কিকের নির্দেশ। সুইস কিপার দক্ষতার সাথে ফ্রিকিক ঠেকিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই খেলা শেষের বাঁশি। এরপরই জয়ের আনন্দে মাঠ সুইডিসরা।

এলএবাংলাটাইমস//এলআরটি