পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ৷ তিনি এগিয়ে আসছেন মাঠের ঠিক উল্টো দিকে সাংবাদিক সম্মেলন-কক্ষে৷ গ্যালারি তাঁকে সামনে আসতে দেখে উত্তাল হয়ে উঠল৷ ‘মওকা৷…৷ মওকা৷…৷ মওকা’৷ ম্লান হেসে ধোনি বলেই ফেললেন, ‘কী অবস্হা দেখুন! বিজ্ঞাপন বানালো স্টার স্পোর্টস৷ আর শুনতে হচ্ছে আমাকে! এটাই হয়ে থাকে৷’ আরও বোধহয় কিছু চমক অপেক্ষা করছিল৷ মাহির জন্য৷
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশি এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে ফেললেন৷ এই পরাজয়ের পর আপনি কি ভাবছেন একদিনের ম্যাচে অন্য অধিনায়ক আনা উচিত? ধোনি প্রথমে বুঝতে পারেননি৷ ভেবেছিলেন, সেই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বোধহয় ভারতের৷ মাহি বলে ফেললেন, ‘আপনার যদি মনে এই রেজাল্টের জন্য আমি দায়ী তাহলে আমাকে সরিয়ে দিন৷ আসলে দেশের ক্রিকেটে যে কিছু খারাপের জন্য সবসময় আমাকেই দায়ী করা হয়ে থাকে৷ সব খারাপের মূলে আমি৷ বলছি, যদি ভারতীয় ক্রিকেটের ভাল কিছুর জন্য আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি সরে যাব৷ আমার কোনও সমস্যা নেই৷ আমি অধিনায়ক থাকার জন্য পাগল নই৷ আমি ক্রিকেটার হিসেবে দলে খেলব৷ তাতেও আমার কোনও অসুবিধা নেই৷’ কী বলছেন মাহি! হ্যাঁ, ঠিক কথা, এভাবেই চমকে দিলেন সকলকে৷
সাংবাদিক সম্মেলন শেষে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে একান্তে বলে দিলেন, ‘দেখুন, আমি অধিনায়ক থাকার জন্য পাগল নই৷ বোর্ড যদি মনে করে আমাকে সরিয়ে অন্য কাউকে আনবে, আমার কোনও সমস্যা নেই৷ আমার এতটুকু রাগ হবে না৷ আমার কষ্টও হবে না৷ আমি জানি আমি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কী করেছি৷ আমার সেই সাফল্য তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না৷ অধিনায়ক না থাকলে আমার রাতের ঘুম হবে না তা কিন্তু নয়৷ দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় বলে মনে করি৷’ এ কোন ধোনিকে দেখছি! জিজ্ঞাসা করে ফেললাম৷ এত অভিমান? হাসছেন ধোনি৷ ‘না, না আমি একদম ঠিক কথাই বলছি৷ আমি অধিনায়ক যখন হয়েছি তখন আমি যেচে চাইনি৷ বোর্ড আমাকে নিজে থেকে অধিনায়ক করেছে৷ আমি কখনও চাইতে যাইনি৷ সুতরাং এখনও যা বলছি ভেবেই বলছি৷ আমাকে রেখে দেওয়ার কথাও বলব না৷ বোর্ড যদি মনে করে সরিয়ে দিতে পারে৷’
অভিমান হয়েছে মাহির? নেতৃত্ব ছাড়ার ইঙ্গিতটা কি মিরপুরেই দিয়ে দিলেন? খানিকটা তো বটেই৷ আসলে খারাপ কিছু ঘটলেই তাঁকে দায়ী করা হয়ে থাকে৷ তিনি জানেন বিলক্ষণ৷ ‘আমি তো সবসময় ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়িয়ে৷ তাই আমাকেই ফায়ার করা হয়৷ যদি আমাকে অন্য কারও জন্য গুলি খেতে হয় তাহলে খেতে রাজি৷ একদিকে ভাল আমি আমার সতীর্থদের চাপটা হালকা করে দিই৷ নিজে দায় নিয়ে থাকি৷’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ হেরে একদম নিজেকে বদলে ফেললেন? সাপোর্ট প্রসঙ্গে প্রশ্নও তাঁকে শুনতে হল৷ ধোনি জানিয়ে দিলেন, ‘দেখুন দুম করে কোনও একজনকে কোচ করে দেওয়ার মানে হয় না৷ সময় দিতে হয়৷ হঠাৎ কাউকে কোচ করে দিলে সেটা পরবর্তী ক্ষেত্রে ভাল হয় না দলের জন্য৷ সব দিক ভাবনা-চিন্তা করে কোচ করা উচিত বলে আমি মনে করি৷ এখন রবি শাস্ত্রী আছে খারাপ কী৷ ভালই তো৷ ইংল্যান্ডে নয়া সাপোর্ট স্টাফ আসার পরে আমরা খারাপ খেলিনি৷ বিশ্বকাপে এই সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে সেমিফাইনাল খেলেছি৷ সুতরাং এই সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই৷’
ধোনি জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার মানে জীবন থেমে যাওয়া নয়৷ ‘এর আগে আমরা ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে যখন হেরে ছিলাম তখন সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছিল৷ এই হারে জীবন থেমে যাবে না৷ হতেই পারে এই রেজাল্ট৷ আমরা মরশুম শেষে কীভাবে খেলছি সেটাই বড় কথা৷ এবার লম্বা মরশুম গেছে৷ ক্লান্তিও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে৷ নিশ্চয় আমরা শেষ ম্যাচটা ভাল ক্রিকেট খেলার জন্যই মাঠে নামব৷ উপভোগ করতে চাই৷’ সত্যি রবি-রাতে এক অন্য মাহিকে দেখল মিরপুর৷ এই মাঠ অনেক ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে৷ কী জানি ধোনি-বিদায়ের প্রথম ইঙ্গিতের সাক্ষী হিসেবে থেকে যাবে কি না?
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশি এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে ফেললেন৷ এই পরাজয়ের পর আপনি কি ভাবছেন একদিনের ম্যাচে অন্য অধিনায়ক আনা উচিত? ধোনি প্রথমে বুঝতে পারেননি৷ ভেবেছিলেন, সেই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বোধহয় ভারতের৷ মাহি বলে ফেললেন, ‘আপনার যদি মনে এই রেজাল্টের জন্য আমি দায়ী তাহলে আমাকে সরিয়ে দিন৷ আসলে দেশের ক্রিকেটে যে কিছু খারাপের জন্য সবসময় আমাকেই দায়ী করা হয়ে থাকে৷ সব খারাপের মূলে আমি৷ বলছি, যদি ভারতীয় ক্রিকেটের ভাল কিছুর জন্য আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি সরে যাব৷ আমার কোনও সমস্যা নেই৷ আমি অধিনায়ক থাকার জন্য পাগল নই৷ আমি ক্রিকেটার হিসেবে দলে খেলব৷ তাতেও আমার কোনও অসুবিধা নেই৷’ কী বলছেন মাহি! হ্যাঁ, ঠিক কথা, এভাবেই চমকে দিলেন সকলকে৷
সাংবাদিক সম্মেলন শেষে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে একান্তে বলে দিলেন, ‘দেখুন, আমি অধিনায়ক থাকার জন্য পাগল নই৷ বোর্ড যদি মনে করে আমাকে সরিয়ে অন্য কাউকে আনবে, আমার কোনও সমস্যা নেই৷ আমার এতটুকু রাগ হবে না৷ আমার কষ্টও হবে না৷ আমি জানি আমি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কী করেছি৷ আমার সেই সাফল্য তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না৷ অধিনায়ক না থাকলে আমার রাতের ঘুম হবে না তা কিন্তু নয়৷ দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় বলে মনে করি৷’ এ কোন ধোনিকে দেখছি! জিজ্ঞাসা করে ফেললাম৷ এত অভিমান? হাসছেন ধোনি৷ ‘না, না আমি একদম ঠিক কথাই বলছি৷ আমি অধিনায়ক যখন হয়েছি তখন আমি যেচে চাইনি৷ বোর্ড আমাকে নিজে থেকে অধিনায়ক করেছে৷ আমি কখনও চাইতে যাইনি৷ সুতরাং এখনও যা বলছি ভেবেই বলছি৷ আমাকে রেখে দেওয়ার কথাও বলব না৷ বোর্ড যদি মনে করে সরিয়ে দিতে পারে৷’
অভিমান হয়েছে মাহির? নেতৃত্ব ছাড়ার ইঙ্গিতটা কি মিরপুরেই দিয়ে দিলেন? খানিকটা তো বটেই৷ আসলে খারাপ কিছু ঘটলেই তাঁকে দায়ী করা হয়ে থাকে৷ তিনি জানেন বিলক্ষণ৷ ‘আমি তো সবসময় ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়িয়ে৷ তাই আমাকেই ফায়ার করা হয়৷ যদি আমাকে অন্য কারও জন্য গুলি খেতে হয় তাহলে খেতে রাজি৷ একদিকে ভাল আমি আমার সতীর্থদের চাপটা হালকা করে দিই৷ নিজে দায় নিয়ে থাকি৷’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ হেরে একদম নিজেকে বদলে ফেললেন? সাপোর্ট প্রসঙ্গে প্রশ্নও তাঁকে শুনতে হল৷ ধোনি জানিয়ে দিলেন, ‘দেখুন দুম করে কোনও একজনকে কোচ করে দেওয়ার মানে হয় না৷ সময় দিতে হয়৷ হঠাৎ কাউকে কোচ করে দিলে সেটা পরবর্তী ক্ষেত্রে ভাল হয় না দলের জন্য৷ সব দিক ভাবনা-চিন্তা করে কোচ করা উচিত বলে আমি মনে করি৷ এখন রবি শাস্ত্রী আছে খারাপ কী৷ ভালই তো৷ ইংল্যান্ডে নয়া সাপোর্ট স্টাফ আসার পরে আমরা খারাপ খেলিনি৷ বিশ্বকাপে এই সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে সেমিফাইনাল খেলেছি৷ সুতরাং এই সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই৷’
ধোনি জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার মানে জীবন থেমে যাওয়া নয়৷ ‘এর আগে আমরা ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে যখন হেরে ছিলাম তখন সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছিল৷ এই হারে জীবন থেমে যাবে না৷ হতেই পারে এই রেজাল্ট৷ আমরা মরশুম শেষে কীভাবে খেলছি সেটাই বড় কথা৷ এবার লম্বা মরশুম গেছে৷ ক্লান্তিও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে৷ নিশ্চয় আমরা শেষ ম্যাচটা ভাল ক্রিকেট খেলার জন্যই মাঠে নামব৷ উপভোগ করতে চাই৷’ সত্যি রবি-রাতে এক অন্য মাহিকে দেখল মিরপুর৷ এই মাঠ অনেক ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে৷ কী জানি ধোনি-বিদায়ের প্রথম ইঙ্গিতের সাক্ষী হিসেবে থেকে যাবে কি না?