খেলাধুলা

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই শীর্ষে সাকিব

বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার কে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে থমকে দাঁড়াতে হয়। পাল্টা প্রশ্ন আসে কোন সংস্করণের ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারের কথা বলছেন—টেস্ট, ওয়ানডে না টি-টোয়েন্টি?
আপাতত সবাইকে এই মধুর ‘ঝামেলা’ থেকে মুক্তি দিলেন সাকিব আল হাসান। গতকাল থেকে আবারও তিন ধরনের ক্রিকেটেই বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব, অনেক দিন ধরেই যিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির এক নম্বর অলরাউন্ডার। ভারত সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়েই এবার ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও পুনরুদ্ধার করলেন বাংলাদেশের এই তারকা। পেছনে ফেললেন শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশানকে।
এ নিয়ে তৃতীয়বার একই সঙ্গে তিন ধরনের ক্রিকেটেই শীর্ষে সাকিব। বছরের শুরুতে ১২ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ওয়ানডে অলরাউন্ডার তালিকার দুইয়ে ঠেলে প্রথমবার উঠলেন শীর্ষে। তাতেই ইতিহাস। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ধরনের ক্রিকেটেই অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে নিজেকে তুলে আনেন মাগুরার ছেলে।
প্রথমবার রাজত্বকাল ছিল মাত্র ৯ দিন। বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ না থাকায় ২১ জানুয়ারির র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবকে তিনে ঠেলে ওয়ানডের প্রথম দুটি জায়গায় বসে পড়েন দুই লঙ্কান ম্যাথুস ও তিলকরত্নে দিলশান। বিশ্বকাপের আগেই অবশ্য আবার সাকিবের মাথায় র্যাঙ্কিং-ত্রিমুকুট। তিন ধরনের ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারের শ্রেষ্ঠত্বের পতাকা বিশ্বকাপের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাঁর হাতেই ছিল। ২ মার্চ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে আবার হাতছাড়া ওয়ানডের শীর্ষস্থান। দিলশান উঠে গিয়েছিলেন সবার ওপরে। সেই থেকে বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগ পর্যন্ত এক নম্বরেই ছিলেন দিলশান।
সর্বশেষ ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ৪০৮, দিলশানের ৪০৪। কদিন পরই বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজ। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজও তখন চলবে সমান্তরালে। তাই আগামী কিছুদিন জমজমাট লড়াই-ই চলতে পারে দুজনের মধ্যে।
ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তিন ম্যাচে সাকিবের রান ৫২, অপরাজিত ৫১ ও ২০। ব্যাটিংয়ে তাঁর উত্তরণ দুই ধাপ (৩১ নম্বর)। ৩ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে আগের আট নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সেরা মুশফিকুর রহিম। চার ধাপ পিছিয়ে ২১ নম্বরে আছেন লাল-সবুজের টেস্ট অধিনায়ক। সবচেয়ে বেশি এগিয়েছেন সৌম্য সরকার। তিন ম্যাচে তাঁর রান ১২৪, এই ওপেনার ১৫ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫১ নম্বরে।
সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড—বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ক্যারিয়ার শুরু করলেন ওয়ানডে বোলিংয়ের ৮৮ নম্বরে থেকে। ৪০৮ রেটিং পয়েন্ট মুস্তাফিজের। ভারত সিরিজের পারফরম্যান্সে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০০-তে উঠেছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও। আট ধাপ এগিয়ে তাসকিনের অবস্থান ৯৬।
ব্যাটিংয়ে শীর্ষ পাঁচ অপরিবর্তিত। শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সই, দুইয়ে কুমার সাঙ্গাকারা। বোলিংয়ে শীর্ষ নাম অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, দুইয়ে ইমরান তাহির। ইংল্যান্ড সিরিজের পর দুই ধাপ এগিয়ে তিনে উঠেছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। তথ্যসূত্র: আইসিসি।