খেলাধুলা

চমক দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে হারালো শেরিফ

প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসা শেরিফ তিরাসফুল একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে। এবারে তারা বড় চমক দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকেও হারিয়ে দিয়েছে। তাও মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে! মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে মালদোভার ক্লাবটি।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ইয়াসুরবেক ইয়াখশিবোয়েভের গোলে শেরিফ এগিয়ে যাওয়ার পর স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা। শেষ সময়ে সেবাস্তিয়ান থিলের গোলে লস ব্লাঙ্কোসদের হারিয়ে দেয় প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসা দলটি।

ম্যাচের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলা রিয়াল মাদ্রিদকে গোল দেয়ার সুযোগ খুঁজছিল শেরিফ। অবশেষে খুঁজেও পেল। ২৫তম মিনিটে ইয়াখশিবোয়েভের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় মালডোভান ক্লাবটি। ক্রিস্তিয়ানোর ক্রস থেকে হেডে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন তিনি। সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া রিয়াল কয়েকটি আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে আর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।


বিরতির পর একইভাবে খেলে যাচ্ছিল রিয়াল। তবে প্রতিপক্ষে গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল গোলপোস্টে। অবশ্য ৬৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে লস ব্লাঙ্কোসদের সমতায় ফেরায় করিম বেনজেমা। ভিনিসিউসকে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফের্নান্দো ফাউল করলে ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি দেন রেফারি।

এ গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭২টি গোলের দেখা পান বেনজেমা। রাউলকে ছাড়িয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় চার নম্বরে উঠে এলেন তিনি।

জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ বল দখলে এগিয়ে থাকলেও তেমন ভালো আক্রমণ তৈরি করতে পারছিল না। ডি-বক্সে গেলেও গোলরক্ষক অথবা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা ঠেকিয়ে দেয় ভিনিয়াস-বেনজেমাদের।

৮৯তম মিনিটে থ্রো থেকে ডি-বক্সে বল পান আদামা ত্রাওরে। তিনি খুঁজে নেন ডি-বক্সের বাইরে অরক্ষিত থিলকে। তার বুলেট গতির শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে জড়ায় জালে। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি কোর্তোয়া। অতিরিক্ত সময়ে সমতায় ফেরার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি বেনজেমা। ফলে ২-১ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উড়তে থাকা শেরিফ দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ১ হার ও ১ ড্রয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল। ‘ডি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে গোলশূণ্য ড্র করে যথাক্রমে তিনে ও চারে অবস্থান করছে ইন্টার মিলান ও শাখতার দোনেস্ক।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]