খেলাধুলা

টেস্টে বাংলাদেশের শততম হার

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। সেই টেস্ট ৯ উইকেটে হারে স্বাগতিকরা। ৫ বছর পর ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় পায় বাংলাদেশ।

এরপর টেস্ট খেলুড়ে সব দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নজরকাড়া। তবুও টেস্ট স্ট্যাটাসের ঠিক ২২ বছরের মাথায় এসে ১০০তম হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটি ছিল সেন্ট লুসিয়ায়। এই ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এর আগে তারা অ্যান্টিগা টেস্টেও হেরে যাওয়ায় ২-০তে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে স্বাগতিকরা।

সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে ৪০৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৬ রান করলে ক্যারিবীয়ানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১২ রানের। ওই রান কোনো উইকেট না হারিয়েই করে ফেলেছে স্বাগতিকরা।

৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ১৬ রানে সোহান ও ০ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ দিনের শুরুতেই নেমে আসে বৃষ্টি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মাঠ শুকানোর পর প্রস্তুত হয় খেলার জন্য।  

মাঠে নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মিরাজ। আলজেরি জোসেফের অতিরিক্ত বাউন্সে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো জশুয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২০ বল খেলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মিরাজ।

অন্য প্রান্তে লড়াইটা ঠিকই চালিয়ে যেতে থাকেন সোহান। টেল-এন্ডারদের আগলে রেখে ইনিংসকে এগিয়ে নেন। হাঁকান দারুণ সব বাউন্ডারি। এই লড়াইয়ের ভেতরই ৪২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে এনে দেন ১২ রানের লিড। পেয়ে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরিও।  

যদিও খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি নিজের ইনিংস। শেষ ব্যাটার হিসেবে খালেদ আহমেদ আউট হলে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় সোহানকে। ৫০ বল খেলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ বলে ৬০ রান করেন তিনি।  

তবে শেষ অবধি কিছুই আর কাজে আসেনি। আরও একটি টেস্ট সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন ধারাবাহিকভাবে, তাদের লেগেছে রীতিমতো বিধ্বস্ত।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]