দ্বিতীয় দিনই চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলের ভাগ্যে হার লেখা হয়ে যায়। ভারত টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান তোলে। জবাবে দ্বিতীয় দিন একশ’ রানের পরেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৫০ রানে। চতুর্থ ইনিংসে দৃঢ়তা দেখিয়ে ওই টেস্ট পঞ্চম দিনে নেওয়াই যেন স্বাগতিকদের সাফল্য। প্রথম ইনিংসে বিপর্যয়ে পড়লেও বাংলাদেশকে ফলোঅন করায়নি ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ২ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৩ রান। ওই রান চাপায় পড়ে ৬ উইকেটে ২৭২ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ভারতের চেয়ে এখনও পিছিয়ে আছে ২৪১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে দুই তরুণ ওপেনার নাজমুল শান্ত ও জাকির হাসান ভালো শুরু করেন। তারা ১২৪ রানের জুটি গড়েন। শান্ত ফিরে যাওয়ার আগে খেলেন ১৫৬ বলে সাত চারে ৬৭ রানের ইনিংস। অভিষিক্ত ওপেনার জাকির ২২৪ বলের মুখোমুখি হয়ে ১০০ রান করেন। ১২টি চারে অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন। এরপর লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম সেট হয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। লিটন খেলেন ৫৯ বলে ১৯ রানের ইনিংস। মুশফিকুর ৫০ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। ব্যর্থ হন নুরুল হাসান (৩)। তবে সাকিব আল হাসান ৬৯ বলে ৪০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দিন শেষ করেছেন। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মিরাজ। এর আগে ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারা ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। শ্রেয়াস আয়ার করেন ৮৬ রান। ঋষভ পান্ত ঝড়ো ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার শুভমন গিল ১১০ রান করেন। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। চেতেশ্বর পূজারা ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। মিরাজ ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া জাকির হোসেন ও লিটন দাস সেট হয়ে আউট হন। তারা যথাক্রমে ২০ ও ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের পক্ষে বল হাতে মিরাজ ও তাইজুল চারটি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে লেগ স্পিনার কুলদীপ এবং তিন উইকেট নিয়ে সিরাজ বাংলাদেশ দলকে ধসিয়ে দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অক্ষর প্যাটেল নিয়েছেন তিন উইকেট।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস