খেলাধুলা

জয় উদযাপনে বুয়েন্স আয়ার্সে জনসমুদ্র

এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা একটি বিষয় খুব ভালো করে বুঝে গেছেন, ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। কিন্তু পেনাল্টি শুটআউটে নাটকীয় জয়ের পর, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে উদযাপন যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। কারণ, ফুটবলের সবচেয়ে আরাধ্য ট্রফিটি নিয়ে দেশে ফিরবে ‘লা স্কালোনেতা’ বা ‘স্কালোনির দল’। টুর্নামেন্টজুড়েই মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনার জাতীয় মানসিকতার জন্য এবার তাদের একটা বিজয় খুব দরকার। দীর্ঘদিন ধরে দেশটি অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রা সংকটে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০০ শতাংশ। বুয়েন্স এইরেসে বিশ্বের দীর্ঘতম কোভিড লকডাউন ছিল। গত সপ্তাহে বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং দুইবারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডে কির্চনার দুর্নীতির অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন। এতে দেশটির রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে। সাত তেলমো জেলার প্রাণকেন্দ্রে লা পুয়ের্তা রোজার একটি বারে ফাইনাল দেখতে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। খেলা শুরুর একঘণ্টা আগেই বারটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই বাইরে দীর্ঘ লাইন। বারের বাতাসে অ্যাড্রেনালিনের গন্ধ, ধারাভাষ্যকারের কথা খুব একটা শোনাই যাচ্ছিল না মানুষের চিৎকার, টেবিলে হাত চাপড়ানো এবং মাঝে মাঝে গ্লাস ভেঙে যাওয়ার শব্দে। ১৩ বছর সান্তিয়াগো বুয়েন্স আয়ার্সে নিজের বাড়ির সামনে পরিবারের সঙ্গে জয় উদযাপন করেন। এই বাড়িটি ছিল প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার। যিনি ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সান্তিয়াগো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না! এটি কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা পেরেছি। ধন্যবাদ মেসি’। এলএবাংলাটাইমস/এজেড