প্রথম সেশনে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে হারায় তিন উইকেট। শেষ সেশনে আরো তিন উইকেট হারিয়ে অলআউটের আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩১ রান। এতে ভারত পায় ১৪৫ রানের টার্গেট। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ রান লিটনের, ৭৩।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষ বেলায় ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে সাকিব-তাইজুল ঘূর্ণিতে ৩১৪ রানে গুটিয়ে যায় সফররত ভারত। ৮৭ রানের লিড পায় লোকেশ রাহুলরা। মিরপুর শেরে বাংলায় ৮০ রানে পিছিয়ে থেকে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে শান্ত ফেরেন ৩১ বলে ৫ রান করে। মুমিনুল ভালো শুরু করলেও টিকতে পারেননি। সিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৫ রান করা মুমিনুল। সাকিব ভালোই শুরু করেছিলেন, কিন্তু উনাদকাট আসতেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩৬ বলে ১৩ রান করেন সাকিব। দলীয় ৭০ রানে অক্ষর প্যাটেলের বলে এলবির শিকার হন মুশফিক(৯)।
এরপর টাইগার ওপেনার জাকির হাসানের ফিফটিতে লিড নেওয়া শুরু করে স্বাগতিকরা। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না জাকির। উমেশের বলে থামে ১৩৫ বলে জাকিরের ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস। মিরাজের বিদায়ের পর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সোহান। সপ্তম উইকেট জুটির রান ৪৬ হতেই অক্ষরের বলে স্ট্যাম্পড হন নুরুল হাসান সোহান। তিনি ২৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
বলতে গেলে রান করেছেন লিটনই। একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলেন তিনি। এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি। কিন্তু লিটনের প্রতিরোধ বেশিদূর এগোয়নি। সিরাজের বলে স্ট্যাম্প উড়ে যাওয়ার আগে ৭ চারে ৯৮ বলে ৭৩ রান করেন লিটন। তার বিদায়ে ভাঙে তাসকিনের সঙ্গে ৭৬ বল স্থায়ী ৬০ রানের জুটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হয়েছেন খালেদ আহমেদ। ৯ বল খেলে ৪ রান করেন তিনি। তাসকিন আহমেদ ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। তার আগে লিটন কুমার সর্বোচ্চ ৭৩, জাকির হাসান ৫১ ও নুরুল হাসান ৩১ রান করে আউট হন। বল হাতে ভারতের অক্ষর প্যাটেল ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও মোহাম্মদ সিরাজ।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস