খেলাধুলা

বাংলার ক্রিকেট ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাশরাফি বিন মর্তুজা

মাশরাফি নামে পরিচিত নড়াইলের সেই দুরন্ত কিশোরটি ছোটবেলা থেকে কৌশিক নামেই এলাকার সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি অদ্ভুত এক ভালোবাসা কাজ করতো। এমনও অনেক দিন গেছে যে নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারাদিন খেলার মাঠেই পড়ে ছিলেন দুরন্ত সেই কিশোর। একজন ক্রিকেটারের গন্ডি ছাড়িয়ে যিনি অন্য উচ্চতায় পৌছে গেছেন। তার হার না মানা মনোবলে নিজেকে অনন্যরুপে উপস্থাপন করেছেন, করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। ইনজুরি নামক বিপদটাকে সঙ্গী করে পথ চলেছেন অভিষেক এর পর থেকে। ইনজুরিতে কাতরাতে কাতরাতে কতবার মাঠের বাইরে গেলেন আর রাজসিক প্রত্যাবর্তন করলেন। তার যদি একটা তালিকা তৈরী করা হয় সেটাও নিশ্চয় মোটাসোটা বইয়ের আকার হয়ে দাড়াবে। একবার নয়, দুবার নয় বারবার গেছেন ধারালো ছুরির নিচে। জীবন নাশের হুমকি সত্ত্বেও কেবল খেলে যাচ্ছেন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। কারণ এই দেশ ও দেশের মানুষ তার বেঁচে থাকার স্পন্দন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তার নিপুণ পরিচলানায় একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল গড়ে উঠেছে এক দূর্দান্ত অপারেজেয় শক্তি হিসাবে। তার দৃড়চেতা মনোভাবের সাথে সঙ্গতি রেখেই তিনি গড়ে তুলেছেন, দৃড় আত্নপ্রত্যয়ের বলীয়ান, রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াইয়ের প্রত্যাশী। অনমনীয় চিত্রের হারার আগে হার না মানা দুরন্ত এক বাংলাদেশ দল। যারা ঠিক তাঁর মতো করেই প্রবল প্রতাপশালী প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে কথা বলে। কঠিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করার সামর্থ্য ও সাহস রাখে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার নেতৃত্বে টাইগাররা ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে। এবং ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে প্রথমবারের মত মাশরাফির নেতৃত্বে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তার সাথে সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী দল গুলার বিপক্ষে সিরিজ জয় লাভ করে প্রথমবারের মত। এবং তার নেতৃত্বে আইসিসি সেরা দশ দেশের তালিকায় ছয় নাম্বারে উঠে আসে টাইগাররা। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার পেছনের কারিগর যেন এই মাশরাফি। তাই তো পেয়েছেন কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসাও। শত বছর বেঁচে থাকুক মাশরাফি। হাজারো তরুণ ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা হয়ে। হাজারো ক্রিকেট ভক্তের ভালোবাসা নিয়ে। এলএবাংলাটাইমস/এজেড