একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ
করলেন ইমরুল কায়েস। ৭৬ রানের কার্যকর
ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও
হাতে তুলে নেন এই ওপেনার। ছবি : মীর
ফরিদ
ইনিংসের শুরুতেই বারদুয়েক আউট হতে
পারতেন যিনি, ম্যাচ শেষে সেই ইমরুল
কায়েসের হাতেই সেরার পুরস্কার।
ম্যাচের অনেক বাজে বলের একটিতে
এল্টন চিগুম্বুরা আউট আর তাতেই
সফরকারীদের আশার প্রদীপ নিভে যায়।
প্রত্যাশা কিংবা দাবি মেনে ২-০
ব্যবধানে সিরিজ হয়ে যায়
বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে টানা পঞ্চম
সিরিজ জয়ের অধিনায়ক মাশরাফি বিন
মর্তুজাকে ঘিরে সেলফির মহোৎসবও
চলে বিরতিহীন।
মাশরাফি আজকাল বোলিংয়ে এলেই
দর্শকের চিৎকার, ফিল্ডিংয়ে ঝাঁপালে
গ্যালারি নাচে, ব্যাটিংয়েও নামেন
সরব ভালোবাসা গায়ে মেখে। এসব এত
দিন বরাদ্দ ছিল সাকিব আল হাসানের
জন্য। দলে পারফরমারের সংখ্যা বৃদ্ধির
সঙ্গে সঙ্গে দর্শক-ভালোবাসার পরিধিও
বেড়েছে। তবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির
প্রসারের সুবাদে ‘টিআরপি’র সঙ্গে বেশ
পরিচয় ঘটে গেছে সবার। ইংরেজি
তিনটি শব্দের সংক্ষিপ্ত এ রূপ হলো
কোনো অনুষ্ঠানের কিংবা তারকার
প্রতি দর্শকের আকর্ষণের সংখ্যাগত
হিসাব। তো, কাল ‘টিআরপি’তে
মাশরাফিদের সঙ্গে সমানেই পাল্লা
দিয়েছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল, যাঁর
সবগুলো পরিচয়ই দেশবাসী জানে। তিনি
কাল কমেন্ট্রি বক্সে বসে আরেকবার
শ্রীনিবাসনকে তোপ দেগে নিজের
জনপ্রিয়তা আরেক দফা বাড়িয়ে
নিয়েছেন। ‘বিগ থ্রি’, ২০১৫
বিশ্বকাপের ‘অবিচার’ মিলে
দর্শকশ্রোতার সমর্থন পুরোপুরি আ হ ম
মুস্তফা কামালের পক্ষে। জায়ান্ট
স্ক্রিনে বেশ কয়েকবার দেখানো
হয়েছে মাইক্রোফোন হাতে দেশের
পরিকল্পনামন্ত্রীকে; কিন্তু সেসব তো
নির্বাক। তাই শ্রীনির বিরুদ্ধে
বিষোদ্গার আর শোনা হয়নি তাদের।
বিস্বাদ ম্যাচে মুফতে টক-ঝাল-মিষ্টির
স্বাদ থেকে নিশ্চিতভাবেই বঞ্চিত
হয়েছে তারা।
বিস্বাদ ম্যাচই তো! টানা দ্বিতীয়বার টস
জেতেন এল্টন চিগুম্বুরা এবং
ফিল্ডিংয়ে নামেন। আর ব্যাটিংয়ে
নেমে বাংলাদেশ কয়েকবার
কাশিটাশি দিলেও ইনিংস শেষে
জানা গেল যে না, যক্ষ্মা হয়নি! ফিরে
পাওয়া সঙ্গী ইমরুল কায়েসকে নিয়ে
তামিম ইকবালের ৩২ রানের জুটি
ভাঙার পর স্লো মোশনে ৭৯ রানে ৩
উইকেট বাংলাদেশ। জানা কথা, এই
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেউ না কেউ হাল
ধরবেন, ধরলেনও অনেকে। তবে
ক্রিকেটে তো আর হকি-বাস্কেটবলের
মতো বেরিয়ে গিয়ে ফেরার উপায়
নেই। তাই হালটাকে ব্যাটনের মতো
পাস দিতে দিতে ১৯৩ রানে ৬ উইকেট
বাংলাদেশ। এর মধ্যে একাদশ ওয়ানডে
ফিফটি করেছেন ইমরুল। চার-ছক্কায়
দাপটের আভাসও আছে, তবে মন জয় করা
ইনিংস তো আর নয়! বরং এল্টন চিগুম্বুরার
দেওয়া ক্যাচটা যে দক্ষতায় নিয়েছেন,
সেটির জন্যই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা
পেতে পারেন। খাদের কিনারা থেকে
ওই ক্যাচটিই তো জয়ের মঞ্চে তুলে
দিয়েছে বাংলাদেশকে।
তবে না, ৮৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটার
জন্যই ম্যাচসেরা ইমরুল। ম্যাচের গতি-
প্রকৃতিতে তো আর ইনিংসের গুণগান
লেখা থাকে না, দিনশেষে তাই
ইমরুলের ফিফটিটাই বাংলাদেশের
‘লাইফলাইন’। ক্রিকেট খেলাটাই এমন।
চওড়া ব্যাটে শুরু দেখে মনে হচ্ছিল
তামিম বুঝি আরো বড় ইনিংস খেলবেন
আজ। হয়নি। ছক্কায় লিটন দাশের শুরু
নিয়েও বিভ্রান্ত দর্শক। ‘মি
ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে
আস্থা হয়ে পড়ে ক্ষণস্থায়ী। সাব্বির
রহমান সতর্কতা ছেড়ে বিস্ফোরক হওয়ার
আগেই সাজঘরে। অবশেষে নাসির
হোসেনের আবির্ভাব। দলের দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ রানটা তাঁরই। তবে ৪৮তম
ওভারে নাসির ফিরে যাওয়ায় আর আড়াই
শও ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ।
২৪১ জিম্বাবুয়ের জন্য অনেক রান, তা
যতই সাকিব আল হাসানকে ছাড়া
বোলিং আক্রমণ হোক না কেন। ‘কাটার’
মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি নিজে
এবং আরাফাত সানির নেতৃত্বে স্পিন
আক্রমণ দিয়ে জিম্বাবুয়েকে ‘পোষ’
মানানো খুবই সম্ভব, সেটা করেওছে
বাংলাদেশ। কিন্তু পাগলা ঘোড়াকে
বাগে আনার মতো যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে
হয়েছে মাশরাফিদের।
‘কাটার’ মুস্তাফিজ ৩ উইকেট নিয়ে
ম্যাচের সফলতম বোলার। কিন্তু এক
ওভারে একটা করে বাউন্ডারি আর
ছক্কায় তাঁকে উল্টো চমকে দিয়েছিলেন
চামু চিবাবা। নিজের প্রথম ওভারেই
ব্রেক থ্রু পাইয়ে সে উদ্বেগকে আর
বাড়তে দেননি বাঁহাতি স্পিনার
আরাফাত সানি। পরের ওভারে
মাশরাফির বল স্টাম্পে টেনে এনে
ফিরে যান চিবাবাও।
মাত্র ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হারানো
জিম্বাবুয়ের আরেকটি হারের
কাউন্টডাউন শুরুও তখনই। হেরেছেও
তারা। তবে মাঝপথে চিগুম্বুরা আর
সিকান্দার বখত মিলে যেভাবে এগিয়ে
নিয়ে যাচ্ছিলেন জিম্বাবুয়েকে, তাতে
সিরিজে সমতা দেখছিলেন অনেকে। এ
দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙতে অনেক
বিকল্প ব্যবহারের পরও কেন মাহমুদ
উল্লাহকে আক্রমণে আনছেন না, তা
নিয়ে গ্যালারিতেও শোরগোল। সে
শোরগোল বিদ্রৃপে পরিণত হওয়ার আগেই
অবশ্য আঘাত হানেন আল আমিন হোসেন।
পরপর দুই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন
রাজা আর চিগুম্বুরাকে। বাকি
আনুষ্ঠানিকতাটুকু সারেন মুস্তাফিজ আর
নাসির। প্রথম ওয়ানডের মতো কালও
নাসিরের উইকেটপ্রাপ্তির মধ্য দিয়েই
শেষ হয় ম্যাচ। মুখে গ্রাস এভাবে অন্যের
পাতে চলে যেতে দেখে যারপরনাই
হতাশ জিম্বাবুয়ের কোচ ডেভ
হোয়াটমোর, ‘বোলাররা যাচ্ছেতাই
বোলিং করেছে।’ বোঝা গেল
বাংলাদেশকে আরো কমে বেঁধে
ফেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তবে
হোয়াটমোরের ক্ষোভ আছে
ব্যাটসম্যানদের ওপরেও, ‘এভাবে কেউ
উইকেট বিলিয়ে দেয়?’
উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার দায় আছে
বাংলাদেশেরও। ইমরুল কায়েসই যেমন
ক্যাচ দেন ফুলটসে।
অবশ্য কাল দিনটাই যে ছিল বিলানোর!
না, ব্যাটসম্যানদের মতো ত্যাগের নয়,
আনন্দের। সাকিব আল হাসান বাবা
হয়েছেন যে!
করলেন ইমরুল কায়েস। ৭৬ রানের কার্যকর
ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও
হাতে তুলে নেন এই ওপেনার। ছবি : মীর
ফরিদ
ইনিংসের শুরুতেই বারদুয়েক আউট হতে
পারতেন যিনি, ম্যাচ শেষে সেই ইমরুল
কায়েসের হাতেই সেরার পুরস্কার।
ম্যাচের অনেক বাজে বলের একটিতে
এল্টন চিগুম্বুরা আউট আর তাতেই
সফরকারীদের আশার প্রদীপ নিভে যায়।
প্রত্যাশা কিংবা দাবি মেনে ২-০
ব্যবধানে সিরিজ হয়ে যায়
বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে টানা পঞ্চম
সিরিজ জয়ের অধিনায়ক মাশরাফি বিন
মর্তুজাকে ঘিরে সেলফির মহোৎসবও
চলে বিরতিহীন।
মাশরাফি আজকাল বোলিংয়ে এলেই
দর্শকের চিৎকার, ফিল্ডিংয়ে ঝাঁপালে
গ্যালারি নাচে, ব্যাটিংয়েও নামেন
সরব ভালোবাসা গায়ে মেখে। এসব এত
দিন বরাদ্দ ছিল সাকিব আল হাসানের
জন্য। দলে পারফরমারের সংখ্যা বৃদ্ধির
সঙ্গে সঙ্গে দর্শক-ভালোবাসার পরিধিও
বেড়েছে। তবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির
প্রসারের সুবাদে ‘টিআরপি’র সঙ্গে বেশ
পরিচয় ঘটে গেছে সবার। ইংরেজি
তিনটি শব্দের সংক্ষিপ্ত এ রূপ হলো
কোনো অনুষ্ঠানের কিংবা তারকার
প্রতি দর্শকের আকর্ষণের সংখ্যাগত
হিসাব। তো, কাল ‘টিআরপি’তে
মাশরাফিদের সঙ্গে সমানেই পাল্লা
দিয়েছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল, যাঁর
সবগুলো পরিচয়ই দেশবাসী জানে। তিনি
কাল কমেন্ট্রি বক্সে বসে আরেকবার
শ্রীনিবাসনকে তোপ দেগে নিজের
জনপ্রিয়তা আরেক দফা বাড়িয়ে
নিয়েছেন। ‘বিগ থ্রি’, ২০১৫
বিশ্বকাপের ‘অবিচার’ মিলে
দর্শকশ্রোতার সমর্থন পুরোপুরি আ হ ম
মুস্তফা কামালের পক্ষে। জায়ান্ট
স্ক্রিনে বেশ কয়েকবার দেখানো
হয়েছে মাইক্রোফোন হাতে দেশের
পরিকল্পনামন্ত্রীকে; কিন্তু সেসব তো
নির্বাক। তাই শ্রীনির বিরুদ্ধে
বিষোদ্গার আর শোনা হয়নি তাদের।
বিস্বাদ ম্যাচে মুফতে টক-ঝাল-মিষ্টির
স্বাদ থেকে নিশ্চিতভাবেই বঞ্চিত
হয়েছে তারা।
বিস্বাদ ম্যাচই তো! টানা দ্বিতীয়বার টস
জেতেন এল্টন চিগুম্বুরা এবং
ফিল্ডিংয়ে নামেন। আর ব্যাটিংয়ে
নেমে বাংলাদেশ কয়েকবার
কাশিটাশি দিলেও ইনিংস শেষে
জানা গেল যে না, যক্ষ্মা হয়নি! ফিরে
পাওয়া সঙ্গী ইমরুল কায়েসকে নিয়ে
তামিম ইকবালের ৩২ রানের জুটি
ভাঙার পর স্লো মোশনে ৭৯ রানে ৩
উইকেট বাংলাদেশ। জানা কথা, এই
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেউ না কেউ হাল
ধরবেন, ধরলেনও অনেকে। তবে
ক্রিকেটে তো আর হকি-বাস্কেটবলের
মতো বেরিয়ে গিয়ে ফেরার উপায়
নেই। তাই হালটাকে ব্যাটনের মতো
পাস দিতে দিতে ১৯৩ রানে ৬ উইকেট
বাংলাদেশ। এর মধ্যে একাদশ ওয়ানডে
ফিফটি করেছেন ইমরুল। চার-ছক্কায়
দাপটের আভাসও আছে, তবে মন জয় করা
ইনিংস তো আর নয়! বরং এল্টন চিগুম্বুরার
দেওয়া ক্যাচটা যে দক্ষতায় নিয়েছেন,
সেটির জন্যই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা
পেতে পারেন। খাদের কিনারা থেকে
ওই ক্যাচটিই তো জয়ের মঞ্চে তুলে
দিয়েছে বাংলাদেশকে।
তবে না, ৮৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটার
জন্যই ম্যাচসেরা ইমরুল। ম্যাচের গতি-
প্রকৃতিতে তো আর ইনিংসের গুণগান
লেখা থাকে না, দিনশেষে তাই
ইমরুলের ফিফটিটাই বাংলাদেশের
‘লাইফলাইন’। ক্রিকেট খেলাটাই এমন।
চওড়া ব্যাটে শুরু দেখে মনে হচ্ছিল
তামিম বুঝি আরো বড় ইনিংস খেলবেন
আজ। হয়নি। ছক্কায় লিটন দাশের শুরু
নিয়েও বিভ্রান্ত দর্শক। ‘মি
ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে
আস্থা হয়ে পড়ে ক্ষণস্থায়ী। সাব্বির
রহমান সতর্কতা ছেড়ে বিস্ফোরক হওয়ার
আগেই সাজঘরে। অবশেষে নাসির
হোসেনের আবির্ভাব। দলের দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ রানটা তাঁরই। তবে ৪৮তম
ওভারে নাসির ফিরে যাওয়ায় আর আড়াই
শও ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ।
২৪১ জিম্বাবুয়ের জন্য অনেক রান, তা
যতই সাকিব আল হাসানকে ছাড়া
বোলিং আক্রমণ হোক না কেন। ‘কাটার’
মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি নিজে
এবং আরাফাত সানির নেতৃত্বে স্পিন
আক্রমণ দিয়ে জিম্বাবুয়েকে ‘পোষ’
মানানো খুবই সম্ভব, সেটা করেওছে
বাংলাদেশ। কিন্তু পাগলা ঘোড়াকে
বাগে আনার মতো যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে
হয়েছে মাশরাফিদের।
‘কাটার’ মুস্তাফিজ ৩ উইকেট নিয়ে
ম্যাচের সফলতম বোলার। কিন্তু এক
ওভারে একটা করে বাউন্ডারি আর
ছক্কায় তাঁকে উল্টো চমকে দিয়েছিলেন
চামু চিবাবা। নিজের প্রথম ওভারেই
ব্রেক থ্রু পাইয়ে সে উদ্বেগকে আর
বাড়তে দেননি বাঁহাতি স্পিনার
আরাফাত সানি। পরের ওভারে
মাশরাফির বল স্টাম্পে টেনে এনে
ফিরে যান চিবাবাও।
মাত্র ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হারানো
জিম্বাবুয়ের আরেকটি হারের
কাউন্টডাউন শুরুও তখনই। হেরেছেও
তারা। তবে মাঝপথে চিগুম্বুরা আর
সিকান্দার বখত মিলে যেভাবে এগিয়ে
নিয়ে যাচ্ছিলেন জিম্বাবুয়েকে, তাতে
সিরিজে সমতা দেখছিলেন অনেকে। এ
দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙতে অনেক
বিকল্প ব্যবহারের পরও কেন মাহমুদ
উল্লাহকে আক্রমণে আনছেন না, তা
নিয়ে গ্যালারিতেও শোরগোল। সে
শোরগোল বিদ্রৃপে পরিণত হওয়ার আগেই
অবশ্য আঘাত হানেন আল আমিন হোসেন।
পরপর দুই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন
রাজা আর চিগুম্বুরাকে। বাকি
আনুষ্ঠানিকতাটুকু সারেন মুস্তাফিজ আর
নাসির। প্রথম ওয়ানডের মতো কালও
নাসিরের উইকেটপ্রাপ্তির মধ্য দিয়েই
শেষ হয় ম্যাচ। মুখে গ্রাস এভাবে অন্যের
পাতে চলে যেতে দেখে যারপরনাই
হতাশ জিম্বাবুয়ের কোচ ডেভ
হোয়াটমোর, ‘বোলাররা যাচ্ছেতাই
বোলিং করেছে।’ বোঝা গেল
বাংলাদেশকে আরো কমে বেঁধে
ফেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তবে
হোয়াটমোরের ক্ষোভ আছে
ব্যাটসম্যানদের ওপরেও, ‘এভাবে কেউ
উইকেট বিলিয়ে দেয়?’
উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার দায় আছে
বাংলাদেশেরও। ইমরুল কায়েসই যেমন
ক্যাচ দেন ফুলটসে।
অবশ্য কাল দিনটাই যে ছিল বিলানোর!
না, ব্যাটসম্যানদের মতো ত্যাগের নয়,
আনন্দের। সাকিব আল হাসান বাবা
হয়েছেন যে!