দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। এবার হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন সাকিব, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুশফিকের ৭০ রান। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ২৪৭ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কারেনের শিকার হয়ে লিটন ফেরেন শূন্যরানে, তামিম করেন ১১ রান। এরপর নাজমুল–মুশফিক জুটিতে ইনিংস পুনর্গঠন করে স্বাগতিকরা। তাদের ব্যাটে ২২তম ওভারে একশ স্পর্শ করে বাংলাদেশের রান। ২৪ তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।
তবে ফিফটির পর অহেতুক রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত। ৭১ বল খেলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করেন শান্ত। তার বিদায়ে মুশফিকের সঙ্গে ভাঙে ১২৮ বল স্থায়ী ৯৮ রানের জুটি। শান্ত ফেরার দুই বল পরই ফিফটি পান মুশফিক। ওয়ানডেতে এটি তার ৪৩তম ফিফটি।
এরপর সাকিবের সঙ্গে জমে গিয়েছিল মুশফিকের জুটি। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুর্দান্ত এক গুগলিতে মুশফিককে বোল্ড করেন আদিল রশিদ। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৯ বল স্থায়ী ৩৮ রানের জুটি। মুশফিককে থামতে হলো ৯৩ বলে ৭০ রান করেই। সাকিবের সঙ্গে টিকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও। ৯ বলে ৮ রান করে আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে বোল্ড হন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ ফিরতেই আফিফকে নিয়ে এগোচ্ছিলেন সাকিব। দলীয় ২১০ রানে নিজের ৫২তম ফিফটি তোলেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। এর দুই বল বাদেই ওকসের বলে মঈন আলীর ক্যাচ হয়ে ফেরেন আফিফ(১৫)। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি। ৫ রানে মিরাজ ও ২ রানে আউট হন তাইজুল। ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে সাকিব করেন ৭৫ রান। শূন্যরানে ফেরেন মোস্তাফিজ। ১ রানে অপরাজিত থাকেন এবাদত। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার। দুটি করে উইকেট নেন কারেন ও রশিদ। একটি করে নেন কারেন ও রেহান।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস