খেলাধুলা

আয়েশা–সালমাদের চিন্তা শুধু বিশ্বকাপ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সেমিফাইনাল
নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
প্রথম দুই ম্যাচে থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে
হারিয়েই শেষ চার নিশ্চিত। আজ পাপুয়া নিউগিনির
বিপক্ষে ম্যাচে শেষ চারের জন্য আত্মবিশ্বাস
কুড়িয়ে নেওয়ার। বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য
যে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে সামনে।
আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নেওয়ার
পথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা
সেমিফাইনালই।
অধিনায়ক জাহানারা আলমও বলেছেন, ‘এই
প্রতিযোগিতায় আমাদের সবচেয়ে বড় ম্যাচটি
সেমিফাইনালই।’
সেমিফাইনাল বাংলাদেশের জন্য বেশ বড় এক
পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে। অন্য গ্রুপে আছে
জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ডের মতো
দলগুলো। খুব সহজেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত
করলেও সামনে অপেক্ষা করছে অন্য গ্রুপের
বড় কোনো দল। জাহানারা সেমিফাইনালকে ‘কঠিন’
বলছেন ঠিক এই কারণেই। আয়ারল্যান্ড কিংবা
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সেমিফাইনাল হচ্ছে ধরে
নিয়েই তাঁর মন্তব্য, ‘এই ম্যাচটি কঠিন হবে। তবে
সেমিফাইনালে জিতলে তো বিশ্বকাপের
চূড়ান্তপর্বই নিশ্চিত বাংলাদেশের।’
সেমিফাইনালের আগে বাংলাদেশের দুই
ক্রিকেটারের প্রতি দৃষ্টিটা একটু আলাদা করেই
রাখছে সকলে। রুমানা আহমেদ আর আয়েশা
রহমানের কল্যাণেই যে এই প্রতিযোগিতায়
এখনো পর্যন্ত দুর্দান্ত দল বাংলাদেশ। রুমানা
আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়েই স্কটল্যান্ডকে
কুপোকাত করেছে বাংলাদেশ। লেগ স্পিনে মাত্র
৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সেদিন স্কটিশদের
কাবু করেছিলেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটোসহ
প্রথম দুই ম্যাচে ৫ উইকেট রুমানাকেও বেশ
ছন্দে রেখেছে।
রুমানার আসল পরিচয় অবশ্য অলরাউন্ডারের। রুমানা
বললেন, ‘ব্যাটিংটাই আমার শক্তির জায়গা। তবে আমি
একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিত হতে চাই।’
তবে সম্প্রতি রুমানার বোলার পরিচয়টারই দেখা
মিলছে বেশি। বাংলাদেশের সর্বশেষ পাঁচটি
ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
রুমানার পাশাপাশি আয়েশা রহমানের দিকেও আলাদা দৃষ্টি
থাকবে প্রতিপক্ষের। এই উদ্বোধনী ব্যাটার
বেশ ধারাবাহিক। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে
৩০ বলে নিয়েছেন ৩২ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে
এসেছে ২৪। বাংলাদেশের সর্বশেষ ছয়টি টি-
টোয়েন্টি ম্যাচে আয়েশা কখনোই ২০ রানের
নিচে আউট হননি। এর মধ্যে ঘরের মাঠে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি হাফ সেঞ্চুরিও আছে,
ধারাবাহিকতার দারুণ একটা উদাহরণই।
এই পারফরম্যান্স, এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখেই
বিশ্বকাপের টিকিট কাটুক রুমানা-আয়েশারা, আপাতত
বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রার্থনা এটিই।
সূত্র: প্রঃআঃ ওয়েবসাইট।