খেলাধুলা

নাটকীয় ম্যাচ হেরে সাফ ফুটবল থেকে বাংলাদেশের বিদায়

শেষ চার মিনিটে বাংলাদেশ-
মালদ্বীপ ম্যাচে হলো নাটকীয়তা।
ইনজুরি টাইমেও তাই। ৩ গোল হলো।
বাংলাদেশ গোল করে ম্যাচে ফিরল।
মনে হলো, টিকে থাকবে
বাংলাদেশের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের
গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু ৩
মিনিট পর মালদ্বীপ গোল করে আবার
লিড নিল। এর পর ইনজুরি টাইমে
আরেকটি গোল করল মালদ্বীপ। ভাগ্য
বাংলাদেশকে নিয়ে খেলল। আর সেই
খেলা শেষে মালদ্বীপের কাছে ৩-১
গোলে হেরে সাফ থেকে
বাংলাদেশের প্রায় নিশ্চিত হলো।
পরের ম্যাচে আফগানিস্তান ৩-০
গোলে ভুটানকে হারানোয়
বাংলাদেশের বিদায় পুরো নিশ্চিত
হলো। টানা তিনটি সাফ আসরের গ্রুপ
পর্ব থেকেই বিদায় হলো ২০০৩ সালের
চ্যাম্পিয়নদের। 'বি' গ্রুপে টানা দুই
জয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে
মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান।
অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নতুন
কোচ মারুফুল হক। স্বপ্ন দেখিয়েছিল
অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের দল। সাফ
ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের মিশন
নিয়ে কেরালায় গিয়েছিল তারা।
কিন্তু সেই তাদের স্বপ্নভঙ্গ হলো।
শনিবার ত্রিবান্দ্রাম স্টেডিয়ামে
মালদ্বীপের হারার আগের ম্যাচে
আফগানিস্তানের কাছে ৪-০ গোলে
হেরেছে বাংলাদেশ।
৮৬ মিনিট পর্যন্ত মালদ্বীপ এগিয়ে ১-০
গোলে। এক আক্রমণে হেমন্ত বিশ্বাস
গোল করলেন। প্রাণ ফিরে পেল
বাংলাদেশ। কিন্তু এই অনুভূতি টিকল ৩
মিনিট! সুপার সাব হাসান নাইজ ৮৯
মিনিটে করলেন গোল। আবার লিড
মালদ্বীপের। ৫ মিনিটের স্টপেজ
টাইম ছিল। আরেক বদলী নাশিদ
আহমেদ গোল করে বাংলাদেশকে
উপহার দিলেন দুঃস্বপ্ন।
এই ম্যাচে খেলার শুরুতে মালদ্বীপ
ছিল এগিয়ে। কিন্তু আস্তে আস্তে
গুছিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তারা যায়
আক্রমণে। ২৬ মিনিটে ওয়ালি
ফয়সালের ক্রসে বল উড়ে যায়
মালদ্বীপের বক্সের ডান প্রান্তে।
হেড করেছিলেন জাহিদ হোসেন। বল
গিয়ে লাগে ক্রস বারে। ফিরে আসা
বল ক্লিয়ার করেন মালদ্বীপের
ডিফেন্ডার।
২৮ মিনিটে প্রায় নিশ্চিত গোলের
সুযোগ মিস করে বাংলাদেশ। মাঝ
মাঠ থেকে জামাল ফাসির আলির
চেষ্টা রুখেছিলের গোলকিপার
শহিদুল। কিন্তু বল ফসকে গিয়েছিল
হাত থেকে। সেই বলে ইমাজ শট
নিলেও গোল করতে পারেননি। ভুইয়ার
পাঠানো বল মালদ্বীপের ডি বক্সের
বাইরে পান হেমন্ত বিশ্বাস। তার
সামনে ছিল কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু
হেমন্তের শটে বল জালে জড়ায়নি।
৪১ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে
আক্রমণ করে পেনাল্টি পেয়ে যায়
মালদ্বীপ। ডি বক্সের মধ্যে আহমেদ
ইমাজের একটি শট ঠেকাতে গিয়ে বল
ফয়সালের হাতে লাগে। পেনাল্টি
থেকে শহিদুল আলমকে পরাস্ত করে
গোল করে দলকে লিড এনে দেন আলি
আশফাক। এই লিড নিয়েই বিরতিতে
যায় মালদ্বীপ।
বিরতির পরও মালদ্বীপের ওপর চাপ
বজায় রেখে খেলতে থাকে
বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে গোল
বক্সের মধ্যে ক্রস পাঠান হেমন্ত।
মামুনুল হেড করেছিলেন। কিন্তু
ভালোভাবে হেড করতে না পারায় বল
দিশা হারায়।
পাল্টা আক্রমণের ওপর ভর করে
খেলছিল মালদ্বীপ। ৬৫ মিনিটে
বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেয় তারা।
ফ্রি কিক থেকে ফাসির আলির
পাঠানো বল ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন
শহিদুল। কিন্তু ফসকে যাওয়া বলে শট
নিয়েছিলেন ইমাজ। গোল করতে
পারেননি।
শেষের দিকে একছত্র আধিপত্য রেখে
খেলতে থাকে মালদ্বীপ। বাংলাদেশ
বিচ্ছিন্ন আক্রমণ করলেও গোলের
সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। এরপর আসে
হেমন্তের ওই মুহূর্ত। তারপর আবার
নাটকীয়তা। হাসান নাইজের গোল
করেন। নাসিদ আহমেদ ইনজুরি টাইমে
বাংলাদেশের কফিনে পুরে দেন শেষ
পেরেকটা।