খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি সিরিজ

গেল বছরের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ যত বার নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে, তত বারই ফিরেছে শূন্য হাতে। যত শক্তিশালী দলই হোক না কেন, সফরকারীদের সামনে যেন প্রতিবারই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হতো টাইগারদের।   তবে ২০২২ সালে যেন হঠাৎ সফরকারীদের অন্ধকার অধ্যায়ে আলোর দেখা মেলে। সেই বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুইতে আট উইকেটের ব্যবধানে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে সাদা পোশাকে প্রথমবারের মতো জয় তুলে নিয়ে তাসমানপারে নতুন এক শুরু করে টাইগাররা। এরপর গেল শনিবার ওয়ানডেতে ১৮ ম্যাচ পর বাংলাদেশ প্রথম জয়ের মুখ দেখ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। চলমান সফরে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয়। এবার পালা টি-টোয়েন্টির। এই ফরম্যাটে জয় তুলে নিলেই যেন নিউজিল্যান্ডে ষোলকলা পূর্ণ হবে টাইগারদের। এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। কুড়ি ওভারের এই ফরম্যাটে চলতি বছর রীতিমতো উড়ছে টাইগাররা। ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত আট টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে খেলা সব কটি ম্যাচের মধ্যে কেবল একটি ম্যাচ হেরেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশও করেছে টাইগাররা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার যে বছরের শেষটা স্বাগতিকদের চোখে চোখ রেখেই লড়তে চলেছে টাইগাররা, তা এক কথায় বলাই যায়। এর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২০১০ সাল থেকে শুরু করে গেল বছর অবধি তাদের বিপক্ষে ৯ বার কুড়ি ওভারের এই ফরম্যাটে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে সব কটিতেই হেরেছে তারা। সব মিলিয়েও জয়ের দিকে নিউজিল্যান্ডের পাল্লাই ভারী। এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে ১৭ বার মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দল। এর মধ্যে ১৪ ম্যাচে জিতেছে কিউইরা, বিপরীতে বাংলাদেশের জয় তিনটি। আর সবগুলোই মিরপুরে। তাই এবার নিজেদের চলতি বছরের সাফল্যের ধারা কাজে লাগিয়ে তাসমানপাড়ে না পাওয়ার আক্ষেপটা হয়তো মিটিয়েই নিতে চাইবে শান্ত বাহিনী। আর অধিনায়ক শান্ত তো নজর দিয়েই রেখেছে সিরিজ জয়ের দিকে। আর যদি এমনটি হয়ে যায়, তাহলে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় একটি বছর হয়ে থাকবে ‘২০২৩’। এদিকে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়ে চাঙা টাইগাররা। ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়া টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে না থাকায় দেশে ফিরে এসেছেন চার ক্রিকেটার। তারা হলেন তানজিদ তামিম, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম ও রকিবুল হাসান। টি-টোয়েন্টি দলের রনি তালুকদার, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মাহেদী হাসানরা অনেক আগে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। নতুনদের নিয়েই গত পরশু শান্তরা ঘুরেছেন ওয়াইমারামা বিচে। এছাড়া গতকাল বড়দিন উপলক্ষ্যে দলের জন্য রাখা হয়েছিল অফিশিয়াল ডিনার। দলের ক্রিকেটাররা সবাই একসঙ্গে হয়ে ডিনার করেছেন। বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। আগামীকাল মাঠে নামার আগে আজ অনুশীলনে নামবেন তারা।

 এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস