খেলাধুলা

আমিরাতের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতল পাকিস্তান

এশিয়া কাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে আমিরাত। ফলে জয়ের জন্য ১৩০ রান দরকার হয় পাকিস্তানের।

সেই রান তারা করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও শোয়েব মালিক ও উমর আকমলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা পাকিস্তান দল।

এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারালেও এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে আরব আমিরাত। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন সাইমন আনোয়ার। তা ছাড়া মোহাম্মদ উসমান ২১ ও আমজাদ জাভেদ ২৭ রান করেন।

 বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ ইরফান দুটি করে উইকেট লাভ করেন। তাছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন মোহাম্মদ সামি ও শহীদ আফ্রিদি।

জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা শক্তিশালী পাকিস্তানকে শুরুতে কাঁপিয়ে দেয় আরব আমিরাত। দলীয় ১৭ রানের মাথায় পাকিস্তানের টপঅর্ডার তিনজন ব্যাটসম্যানকে আউট করে তারা। এ সময় মোহাম্মদ হাফিজ ১১, শারজিল খান ৪ এবং খুররাম মানজুর ০ রানে সাজঘরে ফেরেন।

 তবে এরপর ক্রিজে এসে যথেষ্ট ধৈর্য্যের পরিচয় দেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক এবং উমর আকমল। তারা দুজনেই ফিফটি করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। উমর আকমল ৪৬ বলে ৫০ এবং শোয়েব মালিক ৪৯ বল মোকাবেলায় ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

 মালিকের ৬৩ রানের ইনিংসে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল। আর আকমলের ইনিংসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল।

 তাদের দারুণ বোঝাপড়ায় মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৮ বল বাকি থাকতেই জয় পায় পাকিস্তান। আমিরাতের হয়ে আমজাদ জাভেদ একাই ৩টি উইকেট লাভ করেন।

 নিজেদের আগের দুই মাচের একটিতেও জয় পায়নি আরব আমিরাত। তারপরও আজকের ম্যাচে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান হলেও নিরাশ ছিল না তারা। ২০ বছর আগে লিপইয়ারের ঠিক এই দিনেই শক্তিশালী ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল দুর্বল কেনিয়া। তাই এমন কিছুই প্রত্যাশায় ছিল মধ্য প্রাচ্যের দেশটিও। তবে শুরুর দিকে ভালো আক্রমন করলেও শেষপর্যন্ত অভিজ্ঞতার কাছে হার মেনেছে আরব আমিরাত।