খেলাধুলা

সাকিবের মনের শান্তি: পরিবারের সঙ্গে কাটানো সময়

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে শুরুটা একেবারেই ছন্দময় ছিল না সাকিব আল হাসানের। প্রথম পাঁচ ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পান অল্পই-মাত্র ৫ ওভার। ব্যাট হাতে আলো ছড়ানোও হয়নি তেমন। কিন্তু ষষ্ঠ ম্যাচেই বদলে গেল দৃশ্যপট। ব্যাট-বলে সমান দ্যুতি ছড়িয়ে নিজের পুরোনো ছন্দে ফিরলেন তিনি, আর তার পুরস্কার হিসেবে হয়েছেন ম্যাচসেরা। এই ম্যাচেই ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র পঞ্চম বোলার হিসেবে স্পর্শ করলেন ৫০০ উইকেটের মাইলফলক। তবে সাকিবের নামের পাশে যুক্ত হলো আরেক অনন্য অর্জন- এই ফরম্যাটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একসঙ্গে ৭ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের মালিকানা এখন তার দখলে। নিজের কৃতিত্বের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম এবং অবিচল অধ্যবসায়। এমন অর্জনের সাক্ষী হয়েছেন তার স্ত্রী ও সন্তানেরা। সাকিব বলেন, 'পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত। তবে তিন সন্তান নিয়ে সবসময় সেটি হয়ে ওঠে না। তাদের স্কুলের কারণে কঠিন হয়ে গেছে। এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই এখানে এসে থাকতে পারছে। এটি ভালো ব্যাপার। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন পরিবার পাশে থাকলে অনেক স্বস্তি কাজ করে।'  যদিও রেকর্ড গড়ার দিনে আনন্দ স্পষ্ট, তবু আগের ম্যাচগুলোতে পর্যাপ্ত বোলিং না পাওয়ার আক্ষেপও ঝরল তার কণ্ঠে। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের মতে, নিয়মিত বোলিংয়ের অভাবে কিছুটা নেতিবাচক চিন্তা কাজ করেছিল ভেতরে। সাকিবের মতে, আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের গতি বদলে গেছে। এক যুগ আগের তুলনায় খেলা এখন অনেক দ্রুত, তাই তাল মিলিয়ে উন্নতি করাই বড় চ্যালেঞ্জ।  এই ম্যাচসেরার স্বীকৃতি ছিল সাকিবের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪৪তম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে সমান পর্যায়ে উঠে এলেন তিনি। সংখ্যার বিচারে তার ওপরে এখন কেবল চার জন ক্রিকেটার-অ্যালেক্স হেলস (৪৫ বার), কাইরন পোলার্ড (৪৭ বার), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪৮ বার) ও ক্রিস গেইল (৬০ বার)।


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস