১৫ বছরের বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার।
ওকস লেখেন, ‘মুহূর্তটি এসে গেছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা ছিল আমার শৈশবের স্বপ্ন, এবং সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
নিজের বিদায়ী পোস্টে ওকস আরও লেখেন, ‘২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা যেন কালকের কথা মনে হয়। সময় কত দ্রুত কেটে যায়! বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তগুলো, অ্যাশেজের উত্তেজনা, সতীর্থদের সঙ্গে উদ্যাপন—সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ভারতের বিপক্ষে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ টেস্টে কাঁধে চোট পান ওকস। এরপর থেকেই ছিলেন পুনর্বাসনে। ২৩ সেপ্টেম্বর ঘোষিত অ্যাশেজ দলে জায়গা না পাওয়ায় তার ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। তখন ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজমেন্ট পরিচালক রব কি বলেছিলেন, ‘ক্রিস আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নেই।’ এই চোট এবং দলে জায়গা না পাওয়া ওকসকে হয়তো সময়ের আগেই বিদায়ের পথে ঠেলে দিয়েছে। ওকসের ক্যারিয়ার: টেস্ট: ৬২ ম্যাচ, ২০৩৪ রান (১টি সেঞ্চুরি, ৭টি ফিফটি), ১৯২ উইকেট। ওয়ানডে: ১২২ ম্যাচ, ১৫২৪ রান, ১৭৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি: ৩৩ ম্যাচ, ১৪৭ রান, ৩১ উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ভারতের বিপক্ষে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট ওভালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্ট। সেই ম্যাচেই চোটগ্রস্ত কাঁধে স্লিং বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। সাহসী সেই সিদ্ধান্ত তখন ব্যাপক প্রশংসিত হয়, যদিও ম্যাচটি ৬ রানে হেরে সিরিজ ড্র করে ইংল্যান্ড। ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড টম্পসন বলেন, ‘ওকসকে স্লিং বেঁধে টেস্ট খেলতে দেখা যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য অনুপ্রেরণার। সে শুধু দুর্দান্ত খেলোয়াড় নয়, বরং একজন সেরা সতীর্থও।’ ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ওকসের। তবে আসল উত্থান ঘটে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর। সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের রূপান্তর অভিযানের অন্যতম সেনানী ছিলেন তিনি। ছিলেন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলে। ২০২৩ অ্যাশেজ সিরিজে হন সিরিজসেরা খেলোয়াড়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
নিজের বিদায়ী পোস্টে ওকস আরও লেখেন, ‘২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা যেন কালকের কথা মনে হয়। সময় কত দ্রুত কেটে যায়! বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তগুলো, অ্যাশেজের উত্তেজনা, সতীর্থদের সঙ্গে উদ্যাপন—সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ভারতের বিপক্ষে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ টেস্টে কাঁধে চোট পান ওকস। এরপর থেকেই ছিলেন পুনর্বাসনে। ২৩ সেপ্টেম্বর ঘোষিত অ্যাশেজ দলে জায়গা না পাওয়ায় তার ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। তখন ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজমেন্ট পরিচালক রব কি বলেছিলেন, ‘ক্রিস আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নেই।’ এই চোট এবং দলে জায়গা না পাওয়া ওকসকে হয়তো সময়ের আগেই বিদায়ের পথে ঠেলে দিয়েছে। ওকসের ক্যারিয়ার: টেস্ট: ৬২ ম্যাচ, ২০৩৪ রান (১টি সেঞ্চুরি, ৭টি ফিফটি), ১৯২ উইকেট। ওয়ানডে: ১২২ ম্যাচ, ১৫২৪ রান, ১৭৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি: ৩৩ ম্যাচ, ১৪৭ রান, ৩১ উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ভারতের বিপক্ষে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট ওভালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্ট। সেই ম্যাচেই চোটগ্রস্ত কাঁধে স্লিং বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। সাহসী সেই সিদ্ধান্ত তখন ব্যাপক প্রশংসিত হয়, যদিও ম্যাচটি ৬ রানে হেরে সিরিজ ড্র করে ইংল্যান্ড। ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড টম্পসন বলেন, ‘ওকসকে স্লিং বেঁধে টেস্ট খেলতে দেখা যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য অনুপ্রেরণার। সে শুধু দুর্দান্ত খেলোয়াড় নয়, বরং একজন সেরা সতীর্থও।’ ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ওকসের। তবে আসল উত্থান ঘটে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর। সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের রূপান্তর অভিযানের অন্যতম সেনানী ছিলেন তিনি। ছিলেন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলে। ২০২৩ অ্যাশেজ সিরিজে হন সিরিজসেরা খেলোয়াড়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস