দেশে ফিরে যাচ্ছেন জাতীয় দলের ডিফেন্ডার তারিক কাজী। গতকালই ফিনল্যান্ডে চলে যাচ্ছিলেন। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে বিমানে বসার পরই খবর আসে আগুন লেগেছে। বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লেগে যাওয়ায় তারিকের বিমান আকাশে উড়াল দেওয়ার অনুমতি পাচ্ছিল না।
আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে, ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফিনল্যান্ডে যাওয়ার বিমানের সিটেই বসে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা ফুটবলার তারিক কাজী। সূত্র জানিয়েছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিমানে বসে থাকার পর তারা আকাশে উড়াল দিতে পারেননি।
লিগের মৌসুম শুরু করার আগেই তারিক কাজী মানসিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন তিনি আর বসুন্ধরা কিংসে খেলবেন না। ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে হোম ম্যাচ এবং অ্যাওয়ে ম্যাচের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করবেন। সেটাই করেছেন তারিক। পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন তিনি। সবকিছুই জানা ছিল তার ক্লাবের। কিন্তু বিষয়টি সুরাহা করা যায়নি। তারিক কাজী ক্লাবের কাছে বেতন পান না। বেতন না পেলে তিনি আর কত সময় অপেক্ষা করবেন। সেটি তারিক কাজী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। কিংসের সূত্রের দাবি তারিক শুধু এক বছরের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। দলের অন্যান্য ফুটবলাররা নাকি পারিশ্রমিক নিয়মিত পাচ্ছেন না।
তারিক কাজী শুধু বসুন্ধরা কিংসের কথাই প্রকাশ করেননি, দেশের অনেক ভুক্তভোগী খেলোয়াড়ের মনের কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন। যারা দিনের পর দিন খেলে যাচ্ছেন কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। পারিশ্রমিক না পাওয়ার বেদনা ক্লাব টেন্টে গুমরে গুমরে কাঁদে।
এবারের লিগে বেশির ভাগ ক্লাবের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পাননি। নামে পেশাদার লিগ হলেও কখনোই সবকিছু মেনে চলেনি ক্লাবগুলো। দেশের রাজনৈতিক কারণসহ নানা কারণে ফুটবল ক্লাবগুলোর আর্থিক সংকটে পড়ে থাকে। টাকা দেওয়ার ডোনার পাওয়া যায় না। কেউ ডোনার পাওয়া গেলেও তার কাছ থেকে প্রত্যাশিত অর্থ পাওয়া যায় না। বর্তমানে ফুটবলারদের ডিমান্ড অনেক বেশি। সেই ডিমান্ড পূরণ করে ক্লাব চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এত কিছুর মধ্যে খেলোয়াড়রা তাদের চুক্তিবদ্ধ পারিশ্রমিক চান। অনেকেই বারবার অনুরোধ করেই ক্লাব কর্তাদের কাছ থেকে সাড়া পান না। ক্লাব টেন্টে গিয়ে অফিসিয়ালদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয়। মাঠে রেজাল্ট খারাপ হওয়ারও বড় কারণ খেলোয়াড়দের বাজে পারফরম্যান্স। ক্লাব কর্তাদের কণ্ঠে প্রায়শ শোনা যায় 'পারিশ্রমিক দিতে দেরি হলে ফুটবলারদের মন খারাপ থাকে। ম্যাচের দিন এসে বলে তার শরীর ভালো না, একাদশে থাকতে চায় না।' যারা ফুটবলের দায়িত্ব পালন করেন তাদের অভিজ্ঞতা-টাকা দিলে সব ঠিক হয়ে যায়।' ফুটবলাররা নিজেদের মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। একজন আরেক জনেরটা জানতে পারেন। এক ক্লাবের ফুটবলার অন্য ক্লাবের খবর জানতে পারেন সহজেই। তারিক কাজী সেটাই উল্লেখ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তারা চিঠিতে। তারিক কাজী তার পোস্টে লিখেছেন, তার মতো অনেক ফুটবলার এই অবিচারের শিকার। 'আমি খুব ভালো করেই জানি, দেশে এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন, যারা আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন-পেশাদার খেলোয়াড় যারা, এখনো নীরবে কষ্ট পাচ্ছেন, কারণ কিছু ক্লাব নিয়মিতভাবে খেলোয়াড়দের প্রাপ্য বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। তাদের সংগ্রামগুলো হয়তো শোনা যায় না। কিন্তু তাদের অবদানই এই খেলাকে বাঁচিয়ে রাখে।' ক্লাব ফুটবলে তারিকের কথাগুলো ওপেন সিক্রেট। কিন্তু এভাবে কেউ প্রকাশ করেনি। কেউ করতে চায়ও না। ফুটবলের ঘরের মানুষ, কিংবা বাইরের মানুষ, সবার জানা কথা প্রকাশ করেছেন তারিক কাজী। তারিক সাহস দেশের সামগ্রিক ফুটবলের সত্য কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন। ফুটবলের অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছেন তিনি। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এবারের লিগে বেশির ভাগ ক্লাবের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পাননি। নামে পেশাদার লিগ হলেও কখনোই সবকিছু মেনে চলেনি ক্লাবগুলো। দেশের রাজনৈতিক কারণসহ নানা কারণে ফুটবল ক্লাবগুলোর আর্থিক সংকটে পড়ে থাকে। টাকা দেওয়ার ডোনার পাওয়া যায় না। কেউ ডোনার পাওয়া গেলেও তার কাছ থেকে প্রত্যাশিত অর্থ পাওয়া যায় না। বর্তমানে ফুটবলারদের ডিমান্ড অনেক বেশি। সেই ডিমান্ড পূরণ করে ক্লাব চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এত কিছুর মধ্যে খেলোয়াড়রা তাদের চুক্তিবদ্ধ পারিশ্রমিক চান। অনেকেই বারবার অনুরোধ করেই ক্লাব কর্তাদের কাছ থেকে সাড়া পান না। ক্লাব টেন্টে গিয়ে অফিসিয়ালদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয়। মাঠে রেজাল্ট খারাপ হওয়ারও বড় কারণ খেলোয়াড়দের বাজে পারফরম্যান্স। ক্লাব কর্তাদের কণ্ঠে প্রায়শ শোনা যায় 'পারিশ্রমিক দিতে দেরি হলে ফুটবলারদের মন খারাপ থাকে। ম্যাচের দিন এসে বলে তার শরীর ভালো না, একাদশে থাকতে চায় না।' যারা ফুটবলের দায়িত্ব পালন করেন তাদের অভিজ্ঞতা-টাকা দিলে সব ঠিক হয়ে যায়।' ফুটবলাররা নিজেদের মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। একজন আরেক জনেরটা জানতে পারেন। এক ক্লাবের ফুটবলার অন্য ক্লাবের খবর জানতে পারেন সহজেই। তারিক কাজী সেটাই উল্লেখ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তারা চিঠিতে। তারিক কাজী তার পোস্টে লিখেছেন, তার মতো অনেক ফুটবলার এই অবিচারের শিকার। 'আমি খুব ভালো করেই জানি, দেশে এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন, যারা আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন-পেশাদার খেলোয়াড় যারা, এখনো নীরবে কষ্ট পাচ্ছেন, কারণ কিছু ক্লাব নিয়মিতভাবে খেলোয়াড়দের প্রাপ্য বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। তাদের সংগ্রামগুলো হয়তো শোনা যায় না। কিন্তু তাদের অবদানই এই খেলাকে বাঁচিয়ে রাখে।' ক্লাব ফুটবলে তারিকের কথাগুলো ওপেন সিক্রেট। কিন্তু এভাবে কেউ প্রকাশ করেনি। কেউ করতে চায়ও না। ফুটবলের ঘরের মানুষ, কিংবা বাইরের মানুষ, সবার জানা কথা প্রকাশ করেছেন তারিক কাজী। তারিক সাহস দেশের সামগ্রিক ফুটবলের সত্য কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন। ফুটবলের অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছেন তিনি। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস