আবারও সহিংস হয়ে উঠেছে সিলেট
ছাত্রলীগ। তবে অন্য কোথাও নয় এবার নগরীর প্রাণকেন্দ্রকোতয়ালী থানা থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ দুরে অবস্থিততালতলা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে তান্ডবলীলায় মেতে উঠে তারা। জেলা ছাত্রলীগসভাপতি সামাদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বহুল আলোচিতপিযুষ গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহসংঘর্ষে গোটা তালতলা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হলেওবরাবরের মতো আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল নিরবদর্শকের ভূমিকায়।সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ৪ টি মোটর সাইকেল,৫ টি ভ্যান গাড়ী ও রেজিস্ট্রারী মাঠে ভাসমান কাপড়েরদোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,গুলি ও মুহুর্মূহু বোমার আওয়াজে প্রকম্পিতহয়ে ওঠে এলাকা।সরেজমিনে ঘুরে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,রেজিস্ট্রারী মাঠে গণপূর্ত ভবনের নিচতলায়আড্ডা দিচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিযুষ গ্রুপ।তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ধাওয়া দিলে শুরু হয়ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ইট পাটকেল নিক্ষেপ আরগাড়ি ভাংচুরের কারণে আতংক ছড়িয়ে পড়ে তালতলা,সুরমা মার্কেট ও বন্দর এলাকায়। এ সময় কয়েক রাউন্ডগুলির শব্দও শোনা যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগক্যাডাররা স্থানীয় পূর্ত ভবনে উঠে পড়ে। সেখানে ৩য়তলা পর্যন্ত বিরামহীন ভাংচুর চালাতে থাকে তারা।গণপূর্ত ভবনে অবস্থানকারী কয়েকজন কর্মকর্তা জানান,পূর্ত ভবনের বারান্দা থেকে হাত বোমার বিস্ফোরণঘটানো হয়। পূর্ত ভবনের নিচে রাখা ৪ টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলে পার্শ্ববর্তী ভাসমান কাপড়েরদোকান গুলি ও পুড়ে যায়। এ সময় রাস্তার পাশে ফুটপাতেরদোকানের ক্যাশ লুট করা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।একই সময় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা জেলা সাবরেজিস্ট্রারঅফিসের বারান্দা দরজা জানালা ভাংচুর করে।ভয়ংকর তান্ডবলীলা চালিয়ে নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করলেওকোন ধরণের এ্যাকশন কিংবা কাউকে আটক করেনি পুলিশ।ক্যাডাররা নিরাপদে চলে যাওয়ার পর পুলিশসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান,পাশেই তার বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বোমার বিকটশব্দে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন সব কিছু অন্ধকার যেনযুদ্ধাবস্থা।সরকারী অফিস প্রাঙ্গণে সরকার দলীয় ক্যাডারদের এমনতান্ডবে সরকারী কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,সরকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ৩য়, ৪র্থ তলায়এসে হামলা ভাংচুর দুঃখজনক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ত বিভাগের কয়েকজনকর্মকর্তা জানান, এমনতান্ডবলীলা চোখে না দেখলে বিশ্বাস যাবে না।পুড়ে যাওয়া ভাসমান কাপড়ের দোকানীরা বলেন, আমাদেরকি অপরাধ ছিল? আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুরমা পয়েনেটওতালতলা পয়েন্টে সর্বক্ষণ পুলিশ টহল থাকলেও নগরীররাজপথে প্রকাশ্য রণক্ষেত্রে পরিণত করা হলো অথচপুলিশ কোন ভূমিকা নিল না কেন? ক্ষোভ প্রকাশকরে তিনি বলেন, যেখানে চুন থেকে পান খসলে পুলিশগুলিবর্ষন করে সেখানে ভয়াবহ তান্ডবলীলা চললেও পুলিশকেন এগিয়ে আসেনি।বহুল আলোচিত সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার পিযুষ ও সামাদগ্রুপের ক্যাডাররা ভয়াবহতান্ডবলীলা চালিয়ে নিরাপদে চলে যাওয়ার পরঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।এসএমপির এসি সাজ্জাদুল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিতসাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের সামাদ ও পিযুষ গ্রুপেরমধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়কয়েকটি মোটর সাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ দায়ীদেরবিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদকে ফোনদেওয়া হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগ। তবে অন্য কোথাও নয় এবার নগরীর প্রাণকেন্দ্রকোতয়ালী থানা থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ দুরে অবস্থিততালতলা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে তান্ডবলীলায় মেতে উঠে তারা। জেলা ছাত্রলীগসভাপতি সামাদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বহুল আলোচিতপিযুষ গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহসংঘর্ষে গোটা তালতলা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হলেওবরাবরের মতো আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল নিরবদর্শকের ভূমিকায়।সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ৪ টি মোটর সাইকেল,৫ টি ভ্যান গাড়ী ও রেজিস্ট্রারী মাঠে ভাসমান কাপড়েরদোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,গুলি ও মুহুর্মূহু বোমার আওয়াজে প্রকম্পিতহয়ে ওঠে এলাকা।সরেজমিনে ঘুরে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,রেজিস্ট্রারী মাঠে গণপূর্ত ভবনের নিচতলায়আড্ডা দিচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিযুষ গ্রুপ।তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ধাওয়া দিলে শুরু হয়ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ইট পাটকেল নিক্ষেপ আরগাড়ি ভাংচুরের কারণে আতংক ছড়িয়ে পড়ে তালতলা,সুরমা মার্কেট ও বন্দর এলাকায়। এ সময় কয়েক রাউন্ডগুলির শব্দও শোনা যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগক্যাডাররা স্থানীয় পূর্ত ভবনে উঠে পড়ে। সেখানে ৩য়তলা পর্যন্ত বিরামহীন ভাংচুর চালাতে থাকে তারা।গণপূর্ত ভবনে অবস্থানকারী কয়েকজন কর্মকর্তা জানান,পূর্ত ভবনের বারান্দা থেকে হাত বোমার বিস্ফোরণঘটানো হয়। পূর্ত ভবনের নিচে রাখা ৪ টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলে পার্শ্ববর্তী ভাসমান কাপড়েরদোকান গুলি ও পুড়ে যায়। এ সময় রাস্তার পাশে ফুটপাতেরদোকানের ক্যাশ লুট করা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।একই সময় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা জেলা সাবরেজিস্ট্রারঅফিসের বারান্দা দরজা জানালা ভাংচুর করে।ভয়ংকর তান্ডবলীলা চালিয়ে নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করলেওকোন ধরণের এ্যাকশন কিংবা কাউকে আটক করেনি পুলিশ।ক্যাডাররা নিরাপদে চলে যাওয়ার পর পুলিশসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান,পাশেই তার বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বোমার বিকটশব্দে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন সব কিছু অন্ধকার যেনযুদ্ধাবস্থা।সরকারী অফিস প্রাঙ্গণে সরকার দলীয় ক্যাডারদের এমনতান্ডবে সরকারী কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,সরকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ৩য়, ৪র্থ তলায়এসে হামলা ভাংচুর দুঃখজনক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ত বিভাগের কয়েকজনকর্মকর্তা জানান, এমনতান্ডবলীলা চোখে না দেখলে বিশ্বাস যাবে না।পুড়ে যাওয়া ভাসমান কাপড়ের দোকানীরা বলেন, আমাদেরকি অপরাধ ছিল? আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুরমা পয়েনেটওতালতলা পয়েন্টে সর্বক্ষণ পুলিশ টহল থাকলেও নগরীররাজপথে প্রকাশ্য রণক্ষেত্রে পরিণত করা হলো অথচপুলিশ কোন ভূমিকা নিল না কেন? ক্ষোভ প্রকাশকরে তিনি বলেন, যেখানে চুন থেকে পান খসলে পুলিশগুলিবর্ষন করে সেখানে ভয়াবহ তান্ডবলীলা চললেও পুলিশকেন এগিয়ে আসেনি।বহুল আলোচিত সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার পিযুষ ও সামাদগ্রুপের ক্যাডাররা ভয়াবহতান্ডবলীলা চালিয়ে নিরাপদে চলে যাওয়ার পরঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।এসএমপির এসি সাজ্জাদুল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিতসাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের সামাদ ও পিযুষ গ্রুপেরমধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়কয়েকটি মোটর সাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ দায়ীদেরবিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদকে ফোনদেওয়া হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।