সিলেট

বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ৩৫ মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর
‘নিখোঁজ’ হওয়ার ৩৫ মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ
মঙ্গলবার। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী
থেকে মধ্যরাতে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন বিএনপির এই
প্রভাবশালী নেতা। তাঁর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার
দীর্ঘদিন পরও তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা
গেছেন- এ বিষয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বিশ^াস করেন, তাদের
প্রাণপ্রিয় নেতা ইলিয়াস এখনো বেঁচে আছেন এবং
তিনি ফিরে আসবেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের এমন
বিশ^াসকে যেন আরো পোক্ত করে দিলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা
এইচটি ইমাম। তাঁর মতে, ইলিয়াস আলী ‘ওপারে’
বেঁচে আছেন।
গত ১৪ মার্চ, শনিবার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জার্নি’ আয়োজিত

‘মুক্তিযুদ্ধে
পুলিশের অবদান এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে
এইচটি ইমাম বলেন, ‘ইলিয়াস আলী সীমান্তের
ওপারে (ভারতে) পার হয়ে গেছেন।’
তিনি আরো বলেন,তিনি (ইলিয়াস আলী) যখন
নিখোঁজ হন, তার দুই দিন আগেই তার লোকেরা
প্রতিপক্ষের দু’জনকে হত্যা করে। তার উপর আক্রমণ
হতে পারে ভেবেই তিনি পালিয়ে রয়েছেন।’
এইচটি ইমামের এমন মন্তব্যে বিএনপি
নেতাকর্মীরা যেন নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন।
তাদের ভাষ্য হচ্ছে, যেখানেই থাকুন, যেভাবেই
থাকুন, পালিয়ে থাকুন আর জোর করে আটক রাখা
হোক, ইলিয়াস আলী যেন ফিরে আসেন। আবার যেন
তাঁর নেতৃত্বে জেগে ওঠে সিলেট বিএনপি, এমনটাই
প্রত্যাশা বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্য রাতে রাজধানীর
গুলশান এলাকা থেকে গাড়ি চালকসহ নিখোঁজ হন
ইলিয়াস আলী। সেদিনের পর থেকে আর কোনো খোঁজ
মেলেনি তার। ইলিয়াসের স্ত্রী ও সন্তানরা তাকে
ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াসকে খুঁজে পেতে সর্বাত্মক
সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও
সন্ধান মেলেনি বিএনপির এই কেন্দ্রীয়
সাংগঠনিক সম্পাদকের।