সিলেট

স্ত্রী হত্যার দায়ে সিলেটের নতুন কারাগারে প্রথম ফাঁসি কার্যকর

স্ত্রী হত্যার দায়ে সিলেটে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামের ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাহজাহান।

শহরতলীর বাদাঘাট এলাকায় নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ এটাই প্রথম ফাঁসি কার্যকর বলে জানিয়েছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর আলম।

তিনি বলেন, ‘ফাঁসি কার্যকর করার আগে সিরাজের ইচ্ছে অনুযায়ী তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসি কার্যকরের পর রাতেই স্বজনরা তার মরদেহ দাফনের জন্য হবিগঞ্জে নিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।’

২০০৪ সালে পারিবারিক বিরোধের জেরে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ তার স্ত্রী সাহিদা আক্তারকে শাবল ও ছুরি দিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ থানায় ২০০৪ সালের ৭ মার্চ হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই।

২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিরাজের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। সেই সাথে রায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজ হাই কোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালের ১ অগাস্ট হাই কোর্ট সিরাজের জেল আপিল নিষ্পত্তি করে সাজা বহাল রাখেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জেল পিটিশন দাখিল করেন। আপিল বিভাগও ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর রায়ে সিরাজের আপিল বাতিল করে ডেথ রেফারেন্সের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। এরপর সিরাজ প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলে এ বছরের ২৫ মে রাষ্ট্রপতি তা নামঞ্জুর করেন বলে জানান সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর আলম।

কারা সূত্র জানায়, সিরাজের ফাঁসি কার্যকরের জন্য ১৪ জুন কাশিমপুর কারাগার থেকে জল্লাদ শাহজাহানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

প্রসঙ্গত, শহরের ধোপাদীঘির পাড় এলাকায় অবস্থিত সিলেট পুরাতন কারাগার ১৭৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৪ সালের ২ জুলাই এখানে প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয়।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শহরতলীর বাদাঘাট এলাকায় নির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধন করেন।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]