সিলেট

প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথা স্বীকার করেছেন সিলেটের মেয়র আরিফ

সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনকে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) নাগরিক সংবর্ধনা দেয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এই অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বিএনপি দলীয় আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতা ও অবদানের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একইসাথে সিলেটের উন্নয়নে ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং তাঁর পূর্বসূরি ড. আবুল মাল আবদুল মুহিতের অবদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

এই নাগরিক সংবর্ধনায় সিলেট মহানগরের হাজার হাজার নাগরিকসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতি লীগের নেতাকর্মীরা যোগদান করেন।

এই নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। এই অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের নানামুখী সফলতা চিত্র তুলে ধরতে বিএনপি দলীয় মেয়রও কার্পণ্য করেননি।

তবে আওয়ামী লীগের চারজন নেতা এই নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন রয়েছেন এবং তাঁরা দুজনেই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা করেন। তাঁরা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র বিএনপি দলীয় আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে বিএনপির একটি সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে এই নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন বলে জানা গেছে। তবে তাঁরা গত কয়েক মাসে অনেকগুলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বয়কটকারীদের মধ্যে একজন তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের জানাজায় শরিক হতে এই নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পারেন নি বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন গত অক্টোবরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬-লেনের কাজের উদবোধন করেন এবং তাঁর সরকার সিলেট মহানগরের সার্বিক উন্নয়নে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন তখন সিলেট সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলরদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন-কে সংবর্ধনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২ জনই আওয়ামী লীগের এবং অবশিষ্ট ১২ জন বিএনপির।

বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধির কারণে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরণের জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন না, সে জন্য তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন-কে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ হতে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রাপ্য এই নাগরিক সংবর্ধনার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর সরকাররের মন্ত্রী এবং সিলেট- ১ আসনের জনগণের রায়ে নির্বাচিত সংসদ হিসেবে ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এই নাগরিক সংবর্ধনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তাঁদের নিজেদের সিদ্ধান্তে বর্তমান সরকারের সাফল্যে গণমানুষের স্বীকৃতি তুলে ধরার এই মহতি আয়োজনকে বয়কট করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ভিন্ন দলের একজন নেতা তার নিজ দলের সভায় কয়েকমাস আগে কী বলেছেন সেটাকে কারণ দেখিয়ে সিলেটবাসীর কল্যাণে এবং সিলেটের বৃহত্তর স্বার্থে বর্তমান সরকারের অবদান তুলে ধরার মহতি অনুষ্ঠান বয়কট করা কতটুকু সমীচীন হয়েছে সেটা সিলেটের সাধারণ জনগণ এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যেও এটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]