সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দেওয়া যুবক মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তাঁকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব-৯-এর সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯-এর জ্যেষ্ঠ এএসপি আফসান-আল-আলম।
এর আগে গত শনিবার ভোরে সিলেট নগরের বনকলাপাড়া এলাকার আতিকুর রহমান (৪২), জুবের আহমদ (৩৮) ও হাজীপাড়া এলাকার নুরুজ্জামানকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে মহানগরের বিমানবন্দর থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার জুবের আহমদ ও নুরুজ্জামান মহড়ায় ছিলেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও থেকে পুলিশ তাঁদের মহড়া দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে।
পুলিশ ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ গত ৯ জুন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ৬ জুন সকালে ওয়ার্ডের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাঁর বাসার ফটকের সামনে আসেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা বন্দুক তাক করে তাঁকে (আবদুল্লাহ) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন। পাশাপাশি ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরপরই সায়ীদের অভিযোগটি রিটার্নিং কর্মকর্তা পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পুলিশ সায়ীদ মো. আবদুল্লাহর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। গত বুধবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়ির সামনে আফতাব ও তাঁর সমর্থকেরা সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। সিলেট সিটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সায়ীদ (লাটিম) ছাড়াও মো. জাহিদ খান সায়েক (ঠেলাগাড়ি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী বুধবার এখানে ভোট হবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস